মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২২

 

বিশেষ প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের দেশে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সামাজিক ভাবে প্রতিহত করে স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। কক্সবাজার হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

আজ (১১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল তৎকালীন আমাদের প্রাণের কক্সবাজার মহকুমা। হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জয় বাংলা বাহিনী-৭১ ও সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে সকাল ১১ টায় সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জয় বাংলা বাহিনী-৭১ এর কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও ত্রিপিটক পাঠ করেন সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র যথাক্রমে, নাজমুল হুদা, করেন সৌরভ দাস ও অর্কিড বড়ুয়া।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার নুরুল আবছার।

আলোচনা সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর স্মৃতিচারণ করেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ কুতুবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহিত্যিকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার আবদুল মাবুদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল ইসলাম, সমাজ সেবক ডাক্তার শামসুদ্দোহা, আমিন উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ শহীদুল্লাহ, স্থপতি মামুনুর রশীদ চৌধুরী মনি, সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ ।

আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে একবার সুরা ফাতেহা তিনবার সুরা ইখলাস ও দরূদে ইব্রাহিম তেলাওয়াত করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ওমর ফারুক।