মহেশখালীতে ঠিকাদারের অবহেলায় মেইন রোড বিচ্ছিন্ন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২২

 

জুয়েল চৌধুরী (মহেশখালী)
বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নেমে মহেশখালীর প্রধান সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজের কাজ চলছে। যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা করা হয় আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার খেলার মাঠের উপর। তবে কচ্ছপ গতিতে কাজ করায় ঠিক সময়ে শেষ করতে পারে নাই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ফলে হঠাৎ বৃষ্টিতে ঢলের পানি চলাচলে বাধা হয়ে প্লাবিত হয় আশপাশের সবকটি এলাকা। এর ফলে কালারমারছড়া-গোরকঘাটা প্রধান সড়কে সকাল থেকে দুরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে।

আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি রশিদ আহমদ মেম্বার জানান, ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে ছড়ায় প্রচুর ঢল নামে। ঠিকাদারকে কয়েকবার বলার পরও কর্ণপাত করেনি। যার দরূণ ঢলের পানিতে ফকিরজুমপাড়া, অফিস পাড়া, মোহাম্মদশাহ্ ঘোনা ও ছামিরা ঘোনার কয়েকটি ঘরবাড়ি, ধান চাষ ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ব্রিজ সংলগ্ন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা, মসজিদ ও কালারমারছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পানি চলাচল করে মাটির নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ হয়ে যায়। এতে প্রচুর আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

স্থানীয়দের দাবি, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বর্ষা মৌসুম বিবেচনা করে যথাসময়ে কাজ শেষ করা উচিত ছিল। অনবিজ্ঞ ঠিকাদারের মতো আচরণে শতশত মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এছাড়াও মহেশখালীর বড়ুয়াপাড়া বাজারে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তলিয়ে গেছে কয়েকটি দোকান। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী আজগর জানান, মূলত পাহাড়ি ঢল সরানোর কোন ব্যবস্থা না রেখে অপরিকল্পিতভাবে সড়ক তৈরি করায় এমন ক্ষতি হয়েছে। অতি দ্রুত এর সমাধান না করলে বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ভূমিধ্বস এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পুরো বাজার এলাকাটি ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি অতিদ্রুত সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান।