মরিচ্যার চিহ্নিত ভূমি দস্যু নুর আলম গং গভীর রাতে স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

উখিয়ার মরিচ্যা বাজারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নুরুল ইসলামের ভোগদখলীয় জায়গা অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখলে নিতে গভীর রাতের আধারে টিনের বেড়া ও টিনের ছাউনিযুক্ত নির্মানাধীন দোকান ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে মরিচ্যা এলাকার মৃত আবু তালেবের পুত্র নুরুল আলম গং এর বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শেষ রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মরিচ্যা মাছ বাজারে চিহ্নিত ভূমি দস্যু নুরুল আলমের ভাড়াটিয়া ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী এই কর্মকান্ড চালিয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পশ্চিম মরিচ্যার নুরুল ইসলামের দীর্ঘ দিনের দখলীয় জায়গা অবৈধ ভাবে ভূমি দস্যুরা দখলে নিতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একই এলাকার নুরুল আলম গং। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে নুরুল ইসলামের নির্মানাধীন দোকান ভাড়াটিয়া ১৫/২০জন সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভাংচুর করে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের নুরুল কবিরের ছেলে মোহাম্মদ আলা উদ্দিন(২২), পশ্চিম মরিচ্যার আবু তালেবের ছেলে নুরুল আলম (৫৫), মাহবুবুল আলম (৪০), মোঃ আলম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আলমের ছেলে এহসানুল করিম (২৮), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ রাশেল (২৩), মৃত মোঃ সিরাজের ছেলে শাহ জালাল (৩৫), মৃত আলী আহমদের ছেলে মোঃ হোছন (৪৬), মৃত মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে রবিউল হাসান রবি (৩৩)। বিবাদীরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অবৈধভাবে দখলে নিতে গিয়ে ভাঙচুর করে। তখন ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামের ছেলে আবু নাছের নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য জাতীয় জরুরি হেল্প নং- ৯৯৯ ফোন দিয়ে উখিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতা চাইলে উখিয়া থানায় কর্মরত এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোস্তফা ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের উপস্থিতি লক্ষ্য করলে পালিয়ে যায়।

উক্ত ঘটনায় অভিযোগ কারী মোঃ নাছির জানান, আমারদের দখলীয় জায়গা রাতের আধারে দখলে নিতে এসেছিলো ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী গ্রুপ। তারা দখল করতে না পেরে আমার দোকান ভেঙে দিয়ে চলে যায়। পরে আমি নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে ভূমি দস্যু সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তার মধ্যে ভাড়াটিয়া এক সন্ত্রাসীকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এ নিয়ে উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছি। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। এই ভূমি দস্যুরা আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে যার কারণে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। স্থানীয়রা জানান, নুরুল ইসলামের দখলীয় জায়গা দখলে নিতে বার বার চেষ্টা চালাচ্ছে নুরুল আলমের গ্রুপ। যার কারণে এই জায়গায় উখিয়া থানা পুলিশ এক এক করে অন্তত ১৫/১৬ বার এসেছে আমরা জানি উক্ত জায়গায় নুর আলমদের গ্রুপকে আদালতের আদেশ মতে বিরোধীয় জমিতে না যেতে নিষেধ করেছে পুলিশ। আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা অবৈধ ভাবে দখলে নিতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে। এই জায়গায়কে কেন্দ্র করে আদালতে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম জানান, চিহ্নিত ওই ভূমি দস্যুরা আদালতের আদেশ অমান্য করে আমার দখলীয় জায়গায় দখলে নেওয়ার চেষ্টা করায় ১৫১ ধরা মতে একাধিক বার আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে জেল হাজতের জন্য প্রেরণ করে। তথ্য সুত্রে জানা যায়, বিবাদীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজির, মারামারি, চুরি, হত্যা চেষ্টা মামলাসহ ডজন খানেক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

অভিযুক্ত নুরুল আলমের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পলাতক থাকায় যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূবক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।