রফিক উদ্দিন বাবুল ■ উখিয়া সদর এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ড্রেনটি ভবাট হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষায় পুরো এলাকা, অর্থাৎ সরকারী বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সরকারি খাদ্য গুদাম প্লাবিত হয়ে বিপুল পরিমান ক্ষয় ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। উখিয়া ডাকঘর ও কেজি স্কুলের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টদের দাবী ঘিলাতলী থেকে শুরু হওয়া এ ড্রেনটি দীর্ঘ ১ কিঃ মিঃ অতিক্রম করে সহকারি পুলিশ সুপার অফিসের সামনে গিয়ে পানির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ধান্যভুমিতে প্রবাহিত হয়। স্টেশন ও বাসা বাড়ীর ফেলা বর্জ্যে ড্রেনটি ভরাট হওয়া যাওয়ায় বিস্তির্ন এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে। যুবলীগ নেতা মুজিবুল হক বলেন, স্থায়ী টেকসই কোন উন্নয়নের সমাধান না হওয়ায়, বছর বছর এ খাতে প্রচুর পরিমান সরকারী অর্থ ব্যয় হলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।
ভূমি অফিসের কর্মকতারা বলছেন, এ ড্রেনটির টেকসই উন্নয়নে ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রতি বর্ষাকালে অফিসের আঙ্গিনায় হাটু পরিমান পানি উঠায় দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয়না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানালেন, ড্রেন সংস্কারের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ লুঠপাট হচ্ছে। বাজারের বাসিন্দা ঝুলন কান্তি দে, জানায়, ড্রেনটির অধিকাংশই বেদখল হয়ে যাওয়ার কারনে পানি নিষ্কাশনে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। গোঠা সদর এলাকা প্রতি বছর গ্লাবিত হয়।
রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ড্রেন সমস্যা নিরসনে একটি স্থায়ী সমাধানের প্রকলপ হাতে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ড্রেন সংস্কার পুর্বক পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।