পেকুয়ায় রাতের অন্ধকারে বসতঘর গুড়িয়ে দেওয়ায় অভিযোগ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৩

 

পেকুয়া (কক্সবাজার)প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাতের অন্ধকারে বসতঘর গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
(৩০ জুলাই) দিবাগত রাত ৪টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুতাবেপারী পাড়া মৃত আবু ছৈয়দের স্ত্রী আরফা বেগমের বসত ঘর গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় মৃত আবু ছৈয়দ ও আরফা বেগম দম্পতির কন্যা সাবিনা বেগম(৩৫)বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে যাদের অভিযুক্ত করা হয় একই ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সুতাবেপারী পাড়া এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে কামাল হোছাইন (৬৫), কামাল হোছাইনের ছেলে মোঃ মানিক (৩২),ও মোঃ জুনাইদ (২৮),এবং মোঃ মাহিম (২০) সহ অজ্ঞাত ২০/২২জন।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, আরফা বেগমের ওই বসতঘর তাঁর ছেলে-মেয়ে অর্থাৎ সাবিনা বেগমের ভাই-বোনের নামে ৬২১০ নম্বর নামজারী খতিয়ান সৃজন হয়। তপশীলোক্ত জমি নিয়ে মাননীয় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, চকরিয়ায় অপর ৩১৭/২৩ নম্বর বিভাগের মামলা ও নিষেধাজ্ঞার মামলা চলমান রয়েছ। আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার শুনানীর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদেরকে যে কোন কিছুর বিনিময়ে হলেও তাদেরকে বাড়ী-ভিটা থেকে উচ্ছেদ করবে বলে হাকাবকা করে। তারই জের ধরে ভোর রাত ৪টার দিকে অভিযুক্তরা সহ ২০/২২ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দা, কিরিচ, লোহার রড, হাতুড়ী, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে পরিকল্পনামত সংঘবদ্ধভাবে তফশীলোক্ত জমিতে স্থিত সাবিনা না গংয়ের বসত ভিটায় অনধিকার প্রবেশ করে ঝলি টেংরা ও বসত ঘর ভাংচুর করে গাছ-পালা কেটে ফেলে এবং ঘরের মালামাল ও মোবাইল লুট করে। ইহাতে অনুমান ১,৫০,০০০ টাকা ক্ষতি হয়। ঘটনার সময় বিবাদীরা আমাকে ও আমার বয়োবৃদ্ধ মাতাকে মারধর করে টেনে-হিছঁড়ে ঘরে থেকে বাহির করে দেয়। বিবাদীরা বর্তমানে তাদেরকে খুন করবে বলে হাকাবকা করছে।
অভিযুক্তদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে দাংগা-হাঙ্গামার মাধ্যমে আইন শৃংখলার মারাত্মক অবনতি হতে পারে। ঘটনার পর আমরা স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করেন বলে জানা যায় ।
ভুক্তভোগী আরফা বলেন,”আমি ও আমার মেয়ে আমার বসত ঘরে ঘুম ছিল, অনুমানিক রাত ৪টার দিকে আমার প্রতিপক্ষ কামাল সহ ২০/২২জন লোক ঘরের চার দিকে ঘিরে ফেলে কয়েক জন ঘরের দরজা কেটে ঘরে ঢুকে আমি ও আমার মেয়েকে মারধর করে এক পাশে রেখে পুরা ঘর ভেঙ্গে পেলে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয় ঘরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমরা ৯৯৯ জরুরী সেবায় ফোন করলে পেকুয়া থানার এস আই অমর বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে”।
অভিযুক্ত কামাল হোসেনের সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
এই বিষয়ে পেকুয়া থানার এস আই অমর বিশ্বাস বলেন,”আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলাম ওদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলছি”।