নির্বাচন বর্জন, ৯ ডিসেম্বর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা ৫ দলীয় বাম জোটের

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩

নির্বাচন বর্জন করে ঘোষিত তফসিল বাতিল সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে  আগামী ৯ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করলো ৫ দলীয় বাম জোট।

৩ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার সকাল ১০ টায় ১৪ পুরানা পল্টন জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  ৫ দলীয় বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডা. এম এ সামাদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিধান দাস, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি(মার্কসবাদী)র সভাপতি কমরেড আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মাওবাদী) র সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, এছাড়াও ৫ দলীয় বাম জোটের সাথে যুগপৎ  যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক পার্টির সভাপতি কমরেড হেলাল উদ্দিন।

সভায় ঘোষিত তফসিল বাতিল সরকারের পদত্যাগ দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৯ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের,  সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মতামত উপেক্ষা করে অবৈধ অগনতান্ত্রিক ভাবে  একতরফাভাবে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করেছে আমরা এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি সরকার র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, গুন্ডা বাহিনী দিয়ে দেশে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা দেশব্যাপী গ্রেফতার মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ফ্যাসিবাদ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করে জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। আবারও সামনে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। দেশের  ১৬ কোটি জনগনের মৌলিক অধিকার ভোটের অধিকার হরণ করে রেখেছে। লুটপাট দুর্নীতি অর্থ পাচার করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও ১৬ কোটি জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় এই সরকারের পদত্যাগ চায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জানোয়ার বলে আখ্যায়িত করেছেন। ঠিক ইয়াহিয়া টিক্কা খানরা বাংগালীদের সাথে যেমন আচরণ করতো শেখ হাসিনাও ঠিক একই রকম আচরণ করছে বিরোধী দলের সাথে। গুম খুন হামলা মামলা গ্রেফতার করে দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ আতংকিত। শেখ হাসিনা হিটলারের মতই আচরণ করছে জনগণের সাথে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মির্জা ফখরুল সহ বিরোধীদলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই একতরফা তফসিল  ঘোষণা বাতিল ও সরকারের পদত্যাগ ও দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছি নেতৃবৃন্দ এই একতরফা পাতানো নির্বাচন প্রতিরোধ করতে রাজপথের আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। আলোচনা সভায় আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং সফল করতে দলীয় নেতাকর্মী সহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন এর মধ্যে সরকার দাবি না মানলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন