টেকপাড়ায় বহু অপকর্মের হোতা হারুনের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২

 

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর টেকপাড়ার জনতা সড়কে মাদকের সম্রাট হারুনের দাপটে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। কে এই হারুন? স্থানীয়দের তথ্য মতে, মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে জনৈক শহর আলীর মেয়ে (বানু) প্রকাশ সুদী বানুর ছেলে হারুন। তার বাবা রশিদ আহম্মদ ও ছিলেন মায়ানমারের বাসিন্দা। তিন ও পাঁচ বোনের যোগসাজসে জনতা সড়ক হতে বাকখাঁলীর তীর পর্যন্ত গড়ে উঠেছে মাদকের বিরাট সাম্রাজ্য। হারুন এক সময় ছিল চিচকে চোর এবং বোনদের অকুণ্ঠ সমর্থনে সে ধীরে ধীরে একজন দুধর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে উঠে এবং ইয়াবা, গাঁজা ও মদের ব্যবসা শুরু করে। পরে বাঁকখালীর তীরে অবৈধ জমি জনৈক ব্যক্তি থেকে টমটম গ্যারেজ হিসেবে ভাড়া নিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়। তার নামে কক্সবাজার মডেল থানায় একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তার বিশাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের নির্মাণ সামগ্রী চুরি করে টেকপাড়ার একটি স্ক্র্যাবের দোকানে বিক্রি করে। তার মা আজীবন সুদের ব্যবসা করে মানুষকে নির্যাতন করে আরাম আয়েশে জীবন যাপন করে আসছে। তার বোন বচু, কাঞ্চু, কুলসুমসহ সবাই সুদের ব্যবসায় জড়িত। যা এলাকায় প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে। হারুনের বড় ভাই আব্দুল্লাহ একজন ইলেক্ট্রিক মেকানিক পরিচয় দিয়ে সরকারী তার চুরি সহ বিভিন্ন মানুষকে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ সংযোগ প্রদান করে। তাদের আরেক ভাই বিদ্যুতের তার চুরি করার সময় শর্টসার্কিটে মৃত্যু বরণ করে। বর্তমানে হারুন এবং হারুনের বড় ভাই আব্দুল্লাহ এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

জানা যায়, মাঝির ঘাট আবু ছৈয়দ কোম্পানীর জেটিতে এলাকায় ১ কোটি ইয়াবা লুট কান্ডেও সরাসরি জড়িত বলে জানা যায়। গত ১১ নভেম্বর রাতে জনতা সড়কের একটি নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সে নির্মাণাধীন ভবনের প্রহরীকে বেধড়ক মারধর করে এবং ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। এ নিয়ে বৃহত্তর টেকপাড়ার সমাজ কমিটির সাবেক সহ—সভাপতি মোহাম্মদ রফিক ইয়াবা ব্যবসায়ী হারুনের বোনদের কাছে ঘটনাটির বিস্তারিত জানতে চাইলে মোঃ রফিককে হুকুমের আসামী করে বিশিষ্ট ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন, বাবলু ও মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। অভিযোগের বিষয়ে হারুনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য—উপাত্ত নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।