চাঁপাইনবাবগঞ্জে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২১

 

পারভেজ মামুন”চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘোষিত প্রথম দফার বিশেষ লকডাউনে সংক্রমনের হার কিছুটা কমলেও আশানুরুপ না কমায় আবারো বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। আমের ভরা মৌসুম হওয়ায় আম শিল্প কে লকডাউনের আওতামুক্ত রেখে ঘোষিত দ্বিতীয় দফা লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ১২ টি ভ্রাম্যমান দল জেলার ৫ উপজেলায় লকডাউন কার্যকরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছে। সোমবার শিবগঞ্জের সাপ্তাহিক হাট বন্ধ সহ ৭৫ জনকে দ্বন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। সোনামসজিদ বন্দরের করোনা পরিস্থিতি জানতে বন্দর অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা। ১’শ শ্রমিকের মধ্যে ১ জনের করোনা সনাক্ত হয় সোমবার।
এছাড়াও জেলার করোনা পরিস্থিতি জানতে, চালু করা হয়েছে ভ্রাম্যমান র‌্যাপিড টেষ্ট কার্যক্রম। ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর ও বন্দরের বাইরে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালক ও সহকারীদের বাড়তি লকডাউনে কঠোর নজরদারীতে রাখা হয়েছে। তবে বন্দরের বাইরের ট্রাক চালকরা আগের মতই প্রকাশ্যে ঘুরছে।
এছাড়াও ভারত থেকে এ পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ৮৮ জন বাংলাদেশি প্রবেশ করেছে। এদিকে, জেলায় ৪’শ ৯২ টি নমুনা সংগ্রুহ হলেও শুধু র‌্যাপিড টেষ্টের ১৬৮ টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে ১৭ জনের করোনা সনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১৮’শ ৩৭ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ১৯ থেকে বেড সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০টি করা হয়েছে। যেখানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১ জনসহ জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ এ। তবে করোনার উপসর্গে সদরে ২ জন ও শিবগঞ্জে ১ জনের মৃত্যু হওয়ায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ দিকে বিশেষ লকডাউন বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। দরীদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের দাবী লকডাউন বাড়ালেও তাদের সহায়তা প্রদান করা হোক, নয়ত কাজ করতে দেয়া হোক।
অনেকের দাবী, এনজিওগুলোর কিস্তি পরিষোধ স্থগিত করা হোক। আর আম ব্যবসায়ীদের দাবী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম বাজারজাত, পরিবহন ও বাইরের ক্রেতা জেলায় আসতে প্রশাসন সহায়তা করলে লকডাউন নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই। তবে সচেতন মহলের দাবি, লকডাউন কঠোর না হলে করোনার সংক্রমণ কোনভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যাবেনা। সকলকে মাক্স পরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন জেলার সচেতন মহল।

সীমান্তবাংলা / ১ জুন ২০২১