চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আ’লীগ নেতার ছেলে মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে গনধোলাই!

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২২

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আ’লীগ নেতার ছেলে মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় জনতার কাছে গনধোলাই এর শিকার হয়েছেন।পরে নাচোল থানা পুলিশ ঐ যুবক কে উদ্ধার করে। বর্তমানে ঐ যুবক রামেকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। অভিযক্ত যুবক হচ্ছে নাচোল ইসলামপুর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনজুর আনসারির ছেলে ইসতিয়াক আনসারি(১৯)।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদোষী সুত্রে জানাগেছে গত ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার ইফতারির পর উপজেলার ফতেপুর ইউপির গজালবাড়ি গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে মুরাদ(২০) একটি মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ির পাশে রাস্তার ব্রিজে বসে ছিলো। কিছুক্ষণ পর নাচোল মল্লিকপুর থেকে গজাল বাড়ি মোটর সাইকেল যোগে আসার সময় ইসতিয়াক আনসারি সহ অপর দুই বন্ধু মুরাদের কাছে তাঁর মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে। মুরাদ ফোনটি তাঁকে না দিতে চাইলে জোর করে মোবাইলে কথা বলার নাম করে মুরাদের কাছে থাকা ফোনটি নিয়ে ইসতিয়াক সহ তাঁর অপর দুই বন্ধু মোটর সাইকেল যোগে ফোনটি চুরি করে কালইর বাজারের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। ঘটনার এক পর্যায়ে মুরাদ কালইর এলাকার লোকজন কে চোরদের আটক করার জন্য মোবাইলে অবহিত করেন। পরে রাত ৮টার দিকে মোবাইল সহ গোলাবাড়ি বাজারে ইসতিয়াক সহ তাঁর অপর দুই বন্ধু কে জনতা আটক করে। ইসতিয়াক সহ তাঁর অপর দুই বন্ধু সেসময় জনতার হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে বাজার এলাকার জনতা উত্তেজিত হয়ে ইসতিয়াক কে গনধোলাই দেয়। পরে ইসতিয়াকের বাবা মুনজুর আনসারি বিষটি জানতে পেরে পুলিশ সহ দলীয় লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলে ইসতিয়াক কে জোর করে আনার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা মুনজুর আনসারি সহ তার লোকজন কে ধাওয়া করে। একসময় পরিবেশ আরো ঘোলাটে হলে নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল চোর ইসতিয়াক উদ্ধার করে।
পরে আওয়ামীলীগ নেতা মুনজুর আনসারি ছেলে ইসতিয়াকের অবস্থা গুরুতর হলে নাচোল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করে।পরে ঐ রাতেই নাচোল মেডিকেলের কর্তব্যরত ডাক্তার ইসতিয়াকের অবস্থা গুরুতর হলে রামেকে রেফার্ড করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মুরাদের বাবা আনারুল ইসলাম নাচোল থানায় একটি চুরির অভিযোগ দিয়েছেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগি মুরাদের বাবা আনারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আমার ছেলের মোবাইল চুরির ঘটনায় নাচোল থানায় একটি চুরির এজাহার দিয়েছি।তবে অভিযুক্তের বাবা মুনজুর আনসারি বিষটি নিরসনের জন্য বার বার চাপ দিচ্ছে।

এবিষয়ে নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান জানান,মঙ্গলবার রাতে অভিযক্ত যুবকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছেলেটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রামেকে ভর্তি রয়েছে।তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সীমান্তবাংলা / ১৩ এপ্রিল ২০২২