কক্সবাজারের ২য় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩

প্রেস বিজ্ঞাপ্তি
“শান্তির বিশ্ব হোক কবিতার জয় হোক” এই শ্লোগানে কক্সবাজারের ২য় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার ১৮ ই মার্চ বিকেল ৩ টায় কক্সবাজার জেলা পরিষদ চত্বরে ও রবিবার ১৯ মার্চ সকাল ১০ টায় উত্তরন মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে এ উৎসব উদযাপিত হয়েছ।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী আমাদের রাজনীতির কবি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাব্যময় স্মৃতির স্মারক হিসেবে বালুকাময় সমুদ্র সৈকতের উপকন্ঠে গড়ে ওঠা সৌন্দর্যের রানী খ্যাত ককসবাজারে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার শতাধিক দেশী বিদেশি বরেন্য কবি বৃন্দের অংশ গ্রহণে এ উৎসবের ১ম দিন জেলা পরিষদ চত্বরে উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিভীষণ কান্তি দাশ, শিক্ষাবিদ এমএম সিরাজুল ইসলাম সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি কবি কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে কবি বরন, কবি কন্ঠে কবিতা পাঠ বিশ্ব শান্তি প্রার্থনায় অসীমের ঠিকানায় পত্র প্রেরন,অতিথি বরন, উত্তোরিয় প্রদান সহ এতে বর্নাঢ্য আয়োজন করেছে ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন নাসের ভুট্টোর লেখা “বামপন্থীর নিরীহ প্রস্তুতিপর্ব” উপন্যাস, ইউসুফ আরমানের লেখা “ইন্দ্রজাল” কবিতা গ্রন্থ ও মোস্তাক মুসার লেখা “আপন মুখ” গল্পের বই এসময় সময়ের প্রধান কবি অসীম সাহা, অরুন চক্রবর্তী, শাকিল আহমেদ, অনিকেত শামীম, রিজওয়ান মাহমুদ, শিবলী মোক্তাদির ও আবু মুছা চৌধরী, বিদেশী কবি বৃন্দ যথাক্রমে নেপালের মিনা দেবী শেত্রী শর্মা, সিকিমের সন্জয় ঘটক,পশ্চিম বঙ্গের অরুন কুমার চক্রবর্তী, কবি কামরুল হাসান, কবি সিরাজুল ইসলাম, কবি রুহুল কাদের বাবুল, নিলয় রফিক সহ দেশী বিদেশী কবি বৃন্দ।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি অসীম সাহা বলেন, লেখালেখি মানুষ নিজের তাড়নায় করে। কেউ লেখেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে, কেউ লেখেন মনের আনন্দে।

পশ্চিম বঙ্গের অরুন কুমার চক্রবর্তী বলেন,
বিকশিত হোক শত ভাবনা বইগুল পাঠককে দৃঢ়চেতা হওয়ার প্রেরণা যোগাবে। দেশের প্রতি মমতা বাড়াবে। পাঠকরা এ থেকে উপকৃত হবেন।

উৎযাপন কমিটির সভাপতি কবি কামরুল হাসান বলেন, এখানে ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ, আবেগ মান-অভিমান জায়গা করে নিতো। এজন্যই তাকে কবিতায় আরও ব্যাপকভাবে খুঁজে পাওয়া যায়। কবিতায় এসব কবিতা সমগ্র পড়লে রুচি স্নিগ্ধ এক কবির দেখা পাওয়া যায়।