উখিয়া সীমান্ত পয়েন্টে মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সিগারেট ও পলিথিন সিন্ডিকেট সক্রিয়

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩

কফিল উদ্দিন আনু
উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অবাধে ঢুকছে মায়ানমারের নিষিদ্ধ পণ্য, বিভিন্ন ব্রান্ডের ক্ষতিকারক সিগারেট। উখিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের বটতলী, আঞ্জুমান পাড়া, থাইংখালীর রহমতের বিল, উখিয়ার চাকবৈঠা, দরগাহবিল, হাতিমুরা, করইবনিয়া, বেতবনিয়া, বালুখালী ও ঘুমধুমের রেজুপাড়া, তুলাতলি, ফাত্রাঝিরি সহ বিভিন্ন চোরাই পয়েন্ট দিয়ে দিবারাত্রি মিয়ানমার হতে স্থানীয় চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে হরেক রকম ব্র্যান্ডের ক্ষতিকারক সিগারেট ও নিষিদ্ধ পলিথিন।
সম্প্রতি সময়ে উখিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার ৫০টির অধিক চোরাই পথ দিয়ে মিয়ানমার হতে নিষিদ্ধ ক্ষতিকারক সিগারেট ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। এসব পন্যের কারনে যেমনি ভাবে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা এসব সিগারেট পান করে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সম্প্রতি কুতুপালং বাজার, বালুখালী, পালংখালী, থাইংখালী সহ বিভিন্ন দোকান পাটে এসব মায়ানমারের সিগারেট ও পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে। স্থানীয় জনসাধারন ছাড়াও পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকারক এসব নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিগারেট প্রবেশ রোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে স্থানীয় বাসিন্দারা মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে।
সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ঘুমধুম ও উখিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৫০টির মত চোরাই পথ দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারী সিন্ডিকেটেরা সীমান্তে নিয়োজিত কিছু অসৎ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেদের সাথে আঁতাত করে এসব অবৈধ নিষিদ্ধ পণ্য মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের অবৈধ সিগারেট ও পলিথিন সিন্ডিকেটের সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।