আরিফকে হত্যা চেষ্টাকালে পথচারী গুলিবিদ্ধ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩

 

বিশেষ প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউপির ফকিরজুমপাড়া গ্রামের রাস্তার মুখে নিজ বাড়ীস্থ একটি ফার্মেসীতে অবস্থানকালে প্রকাশ্যে গুলি নিয়ে আরিফ ইফতেখার রশিদ নামের এক ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়েছে কালাম উদ্দিন নামের এক সন্ত্রাসী।

৩১শে আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১১ টায় এই অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় আরিফকে বুকে লাথি মেরে পালিয়ে যায় হামলাকারী কামাল উদ্দিন।

স্থানীয় সূত্র বলছে, আরিফ ইফতেখার রশিদ চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের সম্মুন্দি হওয়ায় হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

হামলার বিষয়ে আরিফ রশিদ বলেন, হামলার পরপরই মহেশখালীর অভিভাবক হিসাবে আশেক উল্লাহ রফিক এমপি মহোদয়কে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আরো বলেন, এলাকার কারো সাথে কোন ধরণের ঝগড়া বিবাদ নেই তার। তারপরও কেন ও কি কারণে হামলা করেছে তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান এবং স্থানীয়দের শান্ত থাকতে বলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরিফ ঔষধের ফার্মেসীতে বসে তার কয়েকজন সহপাঠীদের সাথে গল্প করছিলেন। বুঝে উঠার আগে কামাল উদ্দিন এসে তাকে মারধর করতে দেখা যায়। আরিফকে মারধর করে পালিয়ে যাওয়ার পাঁচছয় মিনিটের ভিতর মোটরসাইকেলযোগে প্রকাশ্যে কামাল উদ্দিনের দু’সহযোগী দোয়েল বাহিনীর প্রধান দোয়েল ও নোনাছড়ি মোহাম্মদ উল্লাহ বলির পুত্র হাবিব উল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। স্থানীয় কয়েকজন তাদের চিনতে পেরে ডাকাত ডাকাত বলে পিছন দিক থেকে আওয়াজ দিলে দোয়েল ও হাবিব উল্লাহ মোটরসাইকেল পেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় কয়েকজন রাস্তায় মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখে রাস্তার একপাশে সরিয়ে রাখে এবং পুলিশকে খবর দেয়। এতক্ষণে স্থানীয় সন্ত্রাসী আব্বাস উদ্দিনকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক তার নেতৃত্বে রশিদ মিয়া, দোয়েল রানা, হাবিব উল্লাহ, কামাল উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, আবু বকর, আজিজুল হক মদাইয়্যা, মানিক উদ্দিন মদাইয়্যা, কলিম উল্লাহ সহ বিশ-ত্রিশ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে যায়। এসময় স্থানীয় এক পথচারী মোটরসাইকেলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। রাতের আঁধারে ওই পথচারীকে প্রতিপক্ষ ভেবে আব্বাছ গুলি কর বলে উচ্চস্বরে আওয়াজ দিলে অদূরে থাকা আজিজুল হক মদাইয়্যা ও আব্বাছের ভাই রশিদ মিয়া মিলে পথচারীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুটে। এতে ওবায়দুল হক নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় পথচারী ওবায়দুল হক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

স্থানীয় চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ মুঠোফোনে জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসীরা কয়েকদফা মিটিং করেছে বলে শুনেছি। তারা সবসময় চাই এই শান্ত কালারমারছড়াকে অশান্ত করে ফায়দা লুটে আধিপত্য বিস্তার করতে। সুতরাং সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৯ মার্চ দোয়েল, আব্বাছ, রশিদ মিয়া, আজিজুল হক মদাইয়্যা ও মানিকের নেতৃত্বে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে নিজ অফিসে হত্যা করেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান গণি চেয়ারম্যানকে।