অবশেষে জামিন পেলেন সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন জাসেদ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১

 

বিশেষ প্রতিনিধি:

মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা থেকে অবশেষে জামিন পেলেন সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন জাসেদ।

সূত্রে প্রকাশ উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের নিদানিয়া গ্রামের হাজী মোজাফফর আহমেদের ছেলে নুরুল ইসলাম ভুলু নিজের মেয়ে আমিনা আক্তারকে অপহরণ করার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন জাসেদকে ১ নং আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় অপহরণ, নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন গত ১৫ জুলাই। সেই মামলায় উখিয়া থানা পুলিশ সালাহ উদ্দিন জাসেদকে গ্রেফতার করে গত ৪ আগস্ট দিবাগত রাতে। গ্রেফতারকৃত সালাহ উদ্দিন জাসেদকে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করলে আদালত সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন জাসেদকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট কক্সবাজার জেলা দায়েরা জজ আদালতে সালাহ উদ্দিন জাসেদের জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক ভিকটিম আমিনা আক্তারের বক্তব্য এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে সালাহ উদ্দিন জাসেদকে জামিনে মুক্তিদানের আদেশ প্রদান করেন।

ভিকটিম আমিনা আক্তার আমাদের প্রতিবেদক কে বলেন, তার পিতা ভূমিদস্যু জামায়াত নেতা ছৈয়দ আলম হাজীর যোগসাজশে এই মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আমাদের প্রতিবেদককে আরো জানান, এর আগেও ভিকটিম আমিনা আক্তারের মা বাদী হয়ে আরো একটি মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে ছৈয়দ আলম হাজীর মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এবং এই বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইলে একাধিক বার কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া হয়নি।

কেন বারবার সালাহ উদ্দিন জাসেদ মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলার শিকার হচ্ছেন? এই ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এক গভীর ষড়যন্ত্রের কাহিনী। সালাহ উদ্দিন জাসেদের নানা হাজী ছৈয়দ আহমেদের জায়গা জমির বিরোধ চলে আসছিল ভূমিদস্যু জামায়াত নেতা হাজী ছৈয়দ আলমের সাথে। সেই বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন সময় ভূমিদস্যু হাজী ছৈয়দ আলম সালাহ উদ্দিন জাসেদের সম্পর্কে দাদা হাজী ছৈয়দ আহমদের ১০/১২ কোটি টাকা মূল্যের জায়গা আত্মসাৎ করার কুমানসে বয়োজ্যেষ্ঠ হাজী ছৈয়দ আহমদসহ সালাহ উদ্দিন জাসেদকে এবং তার ভাই, বোন জামাই, মামা সহ অনেক নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করে হয়রানি করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় দায়ের করা মামলাও সেই ষড়যন্ত্রের অংশ বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।

এই বিষয়ে ভিকটিমের পিতা নুরুল ইসলাম ভুলুর সাথে আমাদের প্রতিনিধি ফোনে কথা বললে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান,আপনারা বাসায় এসে বক্তব্য নিয়ে যেতে বলে মোবাইল কেটে দেয়। অপর দিকে অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি এবং হাজী ছৈয়দ আলম প্রকাশ টাঙ্কি ছৈয়দ আলমের মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

সীমান্তবাংলা / ১৭ আগষ্ট ২০২১