মোসলেহ উদ্দিন উখিয়া (কক্সবাজার) : কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মাে: মফিজুর রহমান বলেন, সামনে বর্ষাকাল, এসময়ে কাজ করা যায় না। তাই বর্ষা আসার আগেই রেলট্রেক বসানাের কাজ শেষ করতে চাই। রামুর পানির ছড়া থেকে এই কাজ চট্টগ্রামের দিকে চলে যাবে।
সূত্র জানায়, সরকারের এই মেগা প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫১ শতাংশ।
দ্হোজারী হতে কক্সবাজার-ঘুমদুম রেললাইন প্রকল্পের কাজ ৫১ ভাগ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রেলট্রেক বসানাের কাজ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্ষাকালের আগেই রেলট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার সদর রামু উপজেলার পানির ছড়া এলাকা থেকে রেলট্রেক বসানাের কাজ শুরু হয়। যেখানে মাটির কাজ শেষ, সেখানেই রেলট্রেক বসানাে হচ্ছে। মাটি ভরাট কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ।
প্রকল্পের ৯টি স্টেশন বিল্ডিংয়ের মধ্যে ৫ টির নির্মাণকাজ হয়েছে ২০ শতাংশ। ৩৯টি ব্রিজের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। কক্সবাজারে নির্মাণাধীন সর্বাধুনিক স্টেশন আইকনিক বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে ২০ শতাংশ। বনাঞ্চলের ভেতরে হাতি চলাচলের জন্য ২টি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে।
এই রেললাইন নির্মাণ শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম- কক্সবাজারসহ সারা দেশের সঙ্গে অর্থনীতি, পর্যটনখাতে বিপুল রাজস্ব আয় হবে। যােগাযােগের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
১২৮ কিমি রেলপথে স্টেশন থাকছে ৯টি। এগুলাে হলাে- সাতকানিয়া, লােহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম।
২৮ফেব্রুয়ারি