৪০ বছরেও পানির লেভেল কমবে না: ওয়াসার এমডি

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১

সীমান্তবাংলা ডেক্স : ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিয়ার তাকসিম এ খান বলেছেন, সাভারের তেতুলঝড়া-ভাকুর্তা এলাকায় ওয়েল্ডফিল্ড প্লান্টে পানি উত্তোলনের ফলে আগামী ৪০ বছরেও পানির লেভেল কমবে না। তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি একটি গবেষণালব্ধ প্রকল্প ছিল। এখানে রিসার্চ হয়েছিল সেখানে দেখা গেছে, একুইফিয়ার থেকে পানি নিলেও সেখান থেকে পানি নিচে নামবে না। দুই বছরে মনিটরিং করেছি সেখানে পানির লেভেল নিচে নেমে যায়নি।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘সাভার উপজেলায় তেতুলঝড়া-ভাকুর্তা এলাকায় ওয়েল্ডফিল্ড প্লান্ট পরিদর্শন শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম ও ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওয়াসার এমডি বলেন, ঢাকা শহরে পানির লেভেল নিচে নেমে যায় বলেই আমরা ঢাকার বাইরে থেকে পানি নিচ্ছি। এটি আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট। যার মাধ্যমে দৈনিক ৭৫ হাজার মিলিয়ন লিটার পানি পরিশোধন ক্ষমতা রয়েছে, ৪২ কিলোমিটার পানি ট্র্যান্সমিশন লাইনসহ রয়েছে ৪৬টি গভীর নলকূপ। দুই বছর আগে যখন পানি উত্তোলন শুরু হয় তখন আশেপাশে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। এখন আর সেই সমস্যাটা নেই। এই সমস্যার কথা আমাদের রিসার্চেও উল্লেখ করা ছিল।

প্রকল্পটির কারণে এই এলাকার মানুষের পানির সমস্যার কথা জানতে চাইলে ওয়াসার এমডি বলেন, যাদের বাড়িতে পানির সমস্যা রয়েছে তাদেরকে আমরা সহায়তা করেছি। আমাদের প্রকল্প চালু হওয়ার পরে আশেপাশের একশ ডিপ টিউবওয়েলের পাইপ নিচে নামিয়ে দিয়েছি। যাতে করে ব্যক্তিগতভাবে তারা পানি তুলতে পারে।

এছাড়াও আমাদের উৎপাদন সহজতর করা হয়েছে। যে সময়ে এএলাকাবাসী পানি উঠাবে সেই সময়ে আমরা পানি উত্তোলন করিনা। এমনি আমরা একটি নেটওয়ার্ক করে দেয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, সাভারের তেতুলঝরা-ভাকুর্তার ওয়েলফিল্ড নির্মাণ (১ম পর্ব) প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি থেকে সরবরাহকৃত পানির মাধ্যমে মিরপুর এলাকার পানির চাহিদা অনেকাংশেই লাঘব করা সম্ভব হয়েছে। ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পটি ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ জুন পর্যন্ত ৫৭৩ কোটি টাকায় বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হলেও প্রকল্পটি ৫৩৫.৪৪২ কোটি টাকায় শেষ হয়। অর্থ্যাৎ ৩৭.৫৫৮ কোটি টাকা (৬.৫৫%) কম ব্যয়ে প্রকল্প শেষ হয় বলে দাবি করেন ওয়াসার এমডি।

এছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা এই প্ল্যান্ট থেকে মিরপুর এলাকায় দৈনিক ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে।

১৫ ফেব্রুয়ারি/টিটি/এমএইচ/এডমিন/ইবনে

 

সংবাদটি শেয়ার করুন