রামুতে বনের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছে রোহিঙ্গারা, সহযোগিতা করছে বন কর্মকর্তা ও দালাল চক্র

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২১

আবদুল মালেক সিকদার, রামু:

রামুতে একের পর এক বনের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা করছে রোহিঙ্গারা, রোহিঙ্গা দের কে সহযোগিতা করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দালাল ও বন কর্মকর্তারা, কক্সবাজারের জেলার বন বিভাগ বনভূমি দখলদারদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিলেও মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর হচ্ছে না। বন কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দালাল চক্র আঁতাত করে বন বিভাগের জায়গা দখল করে সল্প মূল্য দিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে রোহিঙ্গা দের,উক্ত জায়গায় রোহিঙ্গারা নির্মাণ করতেছে আলিশান বাড়ি, স্থানীয় দের অভিযোগ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এখন থেকে আইনগত পদক্ষেপ না নিলে কিছু দিন পরে আমাদের ঘর বাড়িও দখলে নিয়ে নেবে, আমাদের কে অন্যত্র চলে যেতে হবে।
সরেজমিন তদন্ত পূর্বক দেখা যায় এক বছর আগে মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা মৌলভী ইলিয়াস স্থানীয় কিছু দালালের সহযোগিতায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কালোর দোকানের পূর্ব পাশে মাইসকুম লা ডেপা এলাকায়, গড়ে তুলে স্থানীয় দের সাথ ভালো সম্পর্ক,বাড়ি করার জন্য ক্রয় করে প্রায় ৮০ শতাংশ বন বিভাগের পাহাড়ি জায়গা,তৈয়ারি করে মাটির তৈয়ারি টিন সিট একটি বাড়ি, স্থানীয় ছেলেদের কাছে মেয়ে বিবাহ দিয়ে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করে, পরে চল-চাতুরী করে স্বপ্নের দেশ মালেশিয়া পাড়ি জমায় রোহিঙ্গা মৌলভী ইলিয়াস। কিছু দিন আগে মালেশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসে রোহিঙ্গা মৌলভী ইলিয়াস, স্থানীয় মৃত ইসলাম সাওদগরের ছেলে ইউনুসের দখলে থাকা বন বিভাগের পাহাড়ি জায়গা ক্রয় করে আরও প্রায় ৬০ শতাংশ,স্থানীয় দালালের সহযোগিতায় এই জায়গায় ৬ রুম বিশিষ্ট স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণ করতেছে ইলিয়াস, বাড়ি নির্মাণ কাজ করার জন্য আনা হয়েছে রোহিঙ্গাদের,

দেখে ও না দেখার ভান করছে বন কর্মকর্তারা, এই প্রতিবেদক সরেজমিন প্রতিবেদন করার জন্য গেলে নিউজ না করার জন্য টাকা দিয়ে মাইনেস করার জন্য চেষ্টা করে স্থানীয় দালাল চক্র। আপা রেঞ্জু বিট অফিসের বিট কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন কে ফোন করে অবহিত করলে তড়িঘড়ি করে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে বলে রোহিঙ্গাদের কে বাড়ি নির্মাণ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানান রোহিঙ্গারা জনপ্রতিনিধি ও দালাল চক্রের কিছু সদস্যদের সাথে হাত করে খুনিয়াপালং ইউনিয়নে পাহাড়ি জায়গা ক্রয় করে প্রায় ৫ শতের উপর বাড়ি নির্মাণ করেছে, জনপ্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করেছে ভোটার তালিকায়, হাতিয়ে নিয়েছে স্মার্ট কার্ড, স্ত্রী সন্তান রেখে পাড়ি জামায়েছে দেশ বিদেশে, দাবি করছে আমরা বাংলাদেশি। রোহিঙ্গাদের দের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও সুশীল সমাজ। রোহিঙ্গা মৌলভী ইলিয়াসের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি বাড়ি নির্মাণ করতেছি না,আমি বাংলাদেশি।

সীমান্তবাংলা /২৬ জুন