পেঁয়াজের জ্বালায় অস্থির বাণিজ্যমন্ত্রী!

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১

নিত্যপণ্য পেঁয়াজের জ্বালায় অস্থির বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পেঁয়াজের সংকট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ প্রয়োজন ২৪-২৫ লাখ টন। উৎপাদনও হয় ২৫-২৬ লাখ টন। তাহলে আমদানি করতে হয় কেন? এমন প্রশ্ন আসে।

সেক্ষেত্রে বক্তব্য হচ্ছে প্রায় ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমাদের নষ্ট হয়। এই পেঁয়াজের জ্বালায়ই আমি অস্থির হয়ে পড়েছি। পরিসংখ্যানের একটা ঝামেলা রয়েছে।’ খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও ভোগের সঠিক পরিসংখ্যানের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই কথা বলেন।

দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এফএও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেন্স প্রমুখ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই আমাদের পেঁয়াজ কমতে থাকে। তখন ভারত থেকে আনতে হয়। এক্ষেত্রে ভারতের ওপর আমরা ৯০ শতাংশ নির্ভরশীল। ভারত বন্ধ করে দিলে অথবা দাম বাড়ালে এর প্রভাব বাজারে পড়ে।

কৃষিবিদদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা পেঁয়াজের এমন বীজ আনেন যাতে সেপ্টেম্বর অক্টোবরে আমরা পেঁয়াজ পাই। উৎপাদন বাড়ানো গেলে, নষ্ট কমলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে পেঁয়াজের বাজারে কোনো সমস্যা হবে না।

পণ্যের মজুদ ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গত বছর কৃষি মন্ত্রণালয় হিসাব দিল এক কোটি পাঁচ লাখ টনের মতো আলু উৎপাদন হবে। আর আমরা ৭০-৭৫ লাখ টন আলু খাই। তার মানে আলু সারপ্লাস থাকবে। কিন্তু গত বছরের বাজারের চিত্র সে কথা বলে না।

টিপু মুনশি বলেন, গত বছর আলুর দাম ৪০ টাকায় ঠেকল। কোল্ডস্টোরেজ থেকে বেরোতে বেরোতে আলু ৩৫-৩৬ টাকা হয়ে গেল, আলু এক্সপোর্ট হলো না। তার মানে হিসাবে একটা গণ্ডগোল রয়েছে। হয় আলুর উৎপাদন কম হয়েছে, নয়তো আলুর চাহিদা আরও বেশি

 

(সীমান্তবাংলা/২৪অক্টোবর/এসকেএস/জেবি/ইবনে)

 

সংবাদটি শেয়ার করুন