পালংখালীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় চমেকে চিকিৎসাধীন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী পঙ্গু হয়ে গেছে!
নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজারের উখিয়ায় দিন দুপুরে বাড়িঘর ভাঙচুর ও ডাম্পারযোগে মালামাল লুট করেছে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা। এ সময় বাঁধা দিলে সেলিনা আকতার (১৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে প্রাণে মারার জন্য গাড়ী চাপা দিলে দুই পা পিষ্ট হয়ে যায়।
আহত শিক্ষার্থী গয়ালমারা এলাকার ছৈয়দ করিমের মেয়ে।
জানা গেছে, রবিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে পালংখালী গয়ালমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর পিতা ছৈয়দ করিম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে প্রকাশ ভূমিদস্যু সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে মধ্যম ফারিরবিল এলাকার মৃত আবুল হোছনের ছেলে জাহেদ আলমের নেতৃত্বে মো: আনোয়ার, মো: আবছার, জসিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিনসহ ৩০/৩৫ জনের সন্ত্রাসীরা এ হামলা করে।
সন্ত্রাসীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় ছৈয়দ করিমের দীর্ঘ ২৫ বৎসরের বসতঘর ভাংচুর শেষে ডাম্পারবর্তী করে মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দিলে তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে গাড়ী চাপা দেয়। এতে তার দুই পা পিষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করে।
একই দিন বিকেলে ওই সব সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বি-৬ ব্লক থেকে এক রোহিঙ্গাকে অপহরণ করতে গিয়ে ১১জনকে আটক করে। পরে আটককৃতদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে পালংখালীর এক নেতা জোর তদবির করে বলে জানিয়েছেন সূত্র।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। অপরাধীদের দ্রূত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।
সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ৩১ মার্চ