পলাশে আবাসিক এলাকায় ক্যামিকেল ফ্যাক্টরী নির্মাণ/জনদুর্ভোগ চরমে

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩

 

মো: খায়রুল ইসলামঃ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার খানেপুরস্থ ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প (জিপিইউএফপি) আবাসিক এলাকায় ক্যামিকেল ফ্যাক্টরী গড়ে উঠায় এখানকার জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, প্রকল্প পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়রকে লিখিতভাবে অবহিত করার পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকাবাসীর ১১ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরীত এক লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এ এলাকার প্রায় ১০/১২হাজার লোক দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে। ইতিমধ্যে আবাসিক এলাকা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সরকারখানা গড়ে উঠে। এতে এলাকাবাসীর কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে আবাসিক এলাকা থেকে মাত্র ২০/৩০ ফুট দূূরে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প (জিপিইউএফপি) এর ক্যামিকেল ফ্যাক্টরীটি গড়ে উঠার কারণে এখানকার মানুষের বসবাস করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এ প্রকল্পটি অন্ততঃ ১ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ম নীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে এ প্রকল্পটি গড়ে তুলেছেন। এছাড়া ক্যামিকেল ফ্যাক্টরীটি প্রিট্রায়াল করার কারণে বিকল শব্দ হচ্ছে। এতে করে এলাকার পরিবেশ মারাত্মভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে এখানকার মানুষ অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এখানে মানুষের নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, সরকার এ এলাকায় একটি বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এটা এলাকাবাসীর গর্ব।
বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাজিউর রহমান মল্লিক এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের আবেদন সত্য। কারণ আমিও তাদের মত একজন। গত রমজান মাসে এ প্রকল্পের বিকট শব্দের জন্য ঠিকমত তারাবির নামাজ পড়তে পারিনি। ছেলে-মেয়েরা ঘুমাতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে এ অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আশাকরি অল্প কিছুদিনের মধ্যে এর সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আরো জানান, ইতিপূর্বে সারকারখানার বিষাক্ত বর্জ্যরে গন্ধে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যেতো। এ অবস্থা থেকে দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকার সাড়ে ১৫শত কোটি টাকা ব্যায় করে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ প্রকল্পটি আশুগঞ্জে গড়ে উঠার কথা ছিল। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ এর একান্ত প্রচেষ্টায় এ প্রকল্পটি এখানে গড়ে উঠেছে। মানবিক দিক চিন্তা করে এবং এলাকাবাসীর দুঃখ ও দুর্ধষা লাগবের লক্ষ্যে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষে আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।