মো: খায়রুল ইসলামঃ
নরসিংদীর রায়পুরার মরজাল এলাকায় উত্তরা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থেমে থাকা তিনটি গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুর্ঘটনাকবলিত তিনটি বাস ও একটি ব্যক্তিগত গাড়ির অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হন। আজ সোমবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, রাজধানী ঢাকার মহাখালী থেকে ছেড়ে আসা উত্তরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। বেলা দেড়টার দিকে বাসটি মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কাউন্টারের সামনে পৌঁছার পর থামতে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ব্রেক কাজ না করায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়।
এতে ব্যক্তিগত গাড়িটির পেছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে এক পাশে সরে যায়। এরপর উত্তরা পরিবহনের বাসটি সামনে থাকা সাদ্দাম পরিবহনের আরেকটি যাত্রীবাহী বাসে ধাক্কা দেয়। এ সময় উত্তরা পরিবহনের বাসটির কাচসহ সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। অন্যদিকে ধাক্কা খাওয়া সাদ্দাম পরিবহনের বাসটি সামনে থাকা আরেকটি লোকাল বাসকে ধাক্কা দেয়। এই দুর্ঘটনায় তিনটি বাস ও একটি ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রী, স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
স্থানীয় ও আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সড়কের পাশে ফলের ব্যবসা করেন, এমন লোকও রয়েছেন।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে ভৈরব হাইওয়ে থানায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বাসের হঠাৎ ধাক্কায় তাঁর গাড়ির পেছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ভেতরে অবস্থান করা কয়েকজন যাত্রী আহত হন। অল্পের জন্য তাঁরা বেঁচে গেছেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক নূর মিয়া বলেন, এই এক দুর্ঘটনায় মোট চারটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিকাংশ আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অন্তত পাঁচজন আহত ব্যক্তিকে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
