দুই যুগের পুরনো ১৭১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২০

সীমান্তবাংলা ডেক্স : বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমি দখল করে পাকা, আধাপাকা ও টিনের তিন থেকে চারতলা পর্যন্ত ভবন গড়ে তোলা হয়েছিল। নদীর তীরভূমি উদ্ধার অভিযানে দুই যুগের পুরনো ১৭১টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

সোমবার সকাল ১০টায় বুড়িগঙ্গা নদীর সোয়ারিঘাট এলাকার কামালবাগে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে সংস্থাটি। চারতলা একটি টিনের ভবন থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ কার্যক্রম। উচ্ছেদ শুরু হতেই সংস্থাটির কর্তৃপক্ষের কাছে এসব স্থাপনার মালিকানা দাবি করে একে একে আসতে থাকেন কথিত ভবন মালিকরা। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নদী উদ্ধারে পিছপা হয়নি অভিযান পরিচালনাকারী দল। তবে আইনি জটিলতায় ভাঙা সম্ভব হয়নি বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা।

অভিযানটির নেতৃত্ব দেয়া সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা ১৫ দিন আগেই এখানকার লোকজনকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তারা যায়নি। আজ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।‘

নদীর জায়গা দখল করে যেসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে তার সবই উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন গুলজার আলী।

পুনঃদখল রোধে সংস্থাটির ভূমিকা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বেড়িবাঁধ সড়ক আরও চওড়া হবে। এখানে ওয়াকওয়ে হবে। বনায়ন হবে। তখন আর কেউ দখল করতে পারবে না।‘

এদিকে উচ্ছেদের শিকার হওয়া কথিত ভবন মালিকরা জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি থেকে জমি কিনে ভবন গড়েছিলেন তারা। তাদের কাছে জমির কাগজপত্রও রয়েছে।

তবে একজন কথিত ভবন মালিক জানান, নদী ভরাট করেই তারা বাড়ি তুলেছেন। দখলের কথা স্বীকার করলেও উচ্ছেদের কারণে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা।

সোমবার দিনব্যাপী অভিযানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থাটি জানায়, অভিযানে পাঁচটি পাঁচতলা টিনের ঘর, আটটি চারতলা টিনের ঘর, ১০টি দোতালা টিনের ঘর, পাঁচটি পাকা দোতলা ভবন, ১০টি পাকা একতলা বিল্ডিং, ৩৫টি আধাপাকা ভবন, ৭০টি টং ঘর, একটি কার ওয়াস রুম, দুটি স্টিলের গোডাউন ও ২৫টি দোকান ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এসময় নদী তীরভূমির দুই একর জায়গা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/কারই/জেবি/এডমিন/ইবনে

সংবাদটি শেয়ার করুন