নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং বাজার এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে ৭২০ ক্যান বিয়ার উদ্ধার এবং ০১ টি পিকআপ জব্দসহ ০২জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম কারণ হচ্ছে মাদকাসক্তি।
মাদকাসক্তির ভয়াল থাবা প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে ফেলছে। দেশব্যাপী
মাদকদ্রব্যের বিস্তাররোধ এবং দেশের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাবের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৫, কক্সবাজার, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে
যে, কতিপয় মাদক কারবারী একটি মিনি পিকআপযোগে কক্সবাজারের দিক হতে টেকনাফের
দিকে মাদকদ্রব্য বিয়ার ক্যান নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ কক্সবাজার এর
একটি চৌকশ আভিযানিক দল ( ৩ মার্চ ২০২১) বুধবার আনুমানিক ৯ টার দিকে কক্সবাজার
জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং বাজার সংলগ্ন কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক
মহাসড়কের উপর চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। তল্লাশীর একপর্যায়ে উক্ত
পিকআপটি (রেজি নং-চট্ট মেট্রে-ন-১১-১৯৩৩) চেকপোস্ট এর কাছে আসলে র্যাব সদস্যগণ
গাড়িটিকে সিগন্যাল দিয়ে দাঁড় করিয়ে তল্লাশী শুরু করলে গাড়িতে থাকা লোকজন
দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে আসামী মোঃ সেলিম (৩০), পিতা-বকতার
আহমদ, আমিনুল হক (২০), পিতা-আব্দুল হক কে করে এবং তাদের সহযোগী অপর একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক
পর্যায়ে তারা জানায় তাদের গাড়িতে কৌশলে লুকায়িত অবস্থায় বিয়ার ক্যান রাখা আছে।
পরবর্তীতে উপস্থিত জন সম্মুখে ধৃত আসামীদের গাড়ি তল্লাশী করে সর্বমোট ৭২০
ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা
দীর্ঘদিন যাবৎ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য বিয়ার ক্যান বহন করে কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন
মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট খুচরা ও পাইকারী বিক্রয় করে আসছিলো।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
( সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ৪ মার্চ ২০২১)