জনতার আদালতে বিচার চাইলেন গুলিবিদ্ধ উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন খাঁন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩

 

মো: খায়রুল ইসলাম :

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদসভা ও দোয়া মাহফিল করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহসীন নাজীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে বিকেল ৫টায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে হুইলচেয়ারে বসে তিনি সভায় যোগ দেন।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঞা মোহনের ছোট ভাই জোনায়েদুল হক ভূঞা জুনু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানকে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় দায়ী করে হারুনুর রশীদ খান বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে। যারা আমাকে গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছে, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা জুনু ও আসাদ। তারা উপজেলার যত পেশাদার খুনি, মাদককারবারি, অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসী রয়েছে সবাইকে তারা দুজন লালন-পালন করে। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি, আমাকে গুলির ঘটনার পর এমপি মোহন একটিবারের জন্য সান্ত্বনা দেয় নাই, বরং আমাকে যারা হত্যা করতে চেয়েছে তাদেরকে নিয়ে হোটেল রেডিসনে আনন্দ উল্লাস করেছে।’

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘আমাকে গুলি করার পর বিচার চেয়ে যারা আন্দোলন করেছে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন এমপি সাহেব। আমার মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধা ও সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আমাকে দেখতে ঢাকা মেডিক্যালে যান। ওই দিনই এমপি মোহনের অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আর সে ঘটনায় আরিফ উল মৃধাকে ও খোরশেদ হাজীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। দুজনই অনেক ভালো মানুষ। সেই মামলায় বিনা দোষে আজকে আরিফ মৃধা কারাগারে। আমাকে গুলির ঘটনায় যতটা কষ্ট পেয়েছি তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি এ ঘটনায়। তাই আমি আজকে জনতার আদালতে বিচার দিয়ে গেলাম।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ৬টার দিকে শিবপুর পৌর এলাকার বাজার সড়কে নিজের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন হারুনুর রশিদ খান। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পিঠে বিদ্ধ দুটি গুলি বের করা হয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশীদ খান তাপস বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে এবং ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত দুটি রিভলবারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জবানবন্দিতে শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।