উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া ২০ দোকানপাট ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই, ক্ষয়ক্ষতি ১৬ লাখ টাকা বলে ধারণা! 

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২

 

এম. এ. রহমান সীমান্ত;

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট
ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে ক্যাম্প-৭’র ব্লক-এ’র এপিবিএন পুলিশ বক্সের সামনের বসতবাড়ি ও দোকানপাটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে গিয়ে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে কাজ করেন ১৪ এপিবিএন পুলিশ ও উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক টীম। ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প।এতে রোহিঙ্গাদের কোন শিবির পুড়েনি এবং রোহিঙ্গারাও ক্ষতির মুখে পড়েনি।

যেসব দোকানপাট পুড়ে ছাঁই হয়েছে,সব দোকানগৃহের মালিক স্থানীয় জনগোষ্ঠী।যাদের বসতবাড়িও ৩টি পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।এতে ৩বসত বাড়ি ও ১৭টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।এতে অনুমান ১৫/১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন প্রত্যেক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা।পুড়ে যাওয়া দোকান মালিক উখিয়ার কুতুপালংয়ের জানে আলম ও শাহজাহান বলেন, তাদের ৬টি দোকানগৃহ মালামালসহ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।ওই ৬ দোকানের ক্ষয়ক্ষতি অন্তত ৬/৭ লাখ টাকা হবে বলে শাহজাহান দাবী করেন।নুরুল কবির ভুট্রো জানান,তার বসবাস পূর্ব থেকেই ক্যাম্প অভ্যন্তরে। তার পরিবার ও ভাড়াটিয়া ২পরিবার এবং ৫ টি দোকান পুড়েছে।ক্ষতি অনুমান ৫ লাখের বেশী।ক্ষতিগ্রস্ত জহিরুল ইসলাম সোনালী বলেন,আগুনে তার ৬টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।ক্ষয়ক্ষতি অনুমান ৪ লাখ টাকা।প্রতেক্ষ্যদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান,একটি দোকানগৃহের দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সুত্রপাত।তবে এটি পরিকল্পিত আগুন বলে অনেকেই অভিযোগ করে বলেন।রোহিঙ্গা কোন দুষ্কৃতকারী এহেন জঘন্য কাজ ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন। ঘটনাস্থলে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানিয়েছেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে ক্যাম্প-৭।জানতে পেরেছি ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই স্থানীয় জনগোষ্ঠী।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন’র অধিনায়ক এসপি মোঃ নাইমুল হক পিপিএম বলেন, ক্যাম্প-৭’র এ ব্লকের কাটা তাঁরের বাইরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭-৮টি ভাড়া দোকানঘর পুড়েছে,সেখানে পুলিশ মোতায়েন আছে।ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে,পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

সীমান্তবাংলা / ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২