উখিয়ায় বনজমিতে দু’সহোদরের ডুপ্লেক্স ভবন, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বনজমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরোটলারেন্সে থাকার ঘোষনা দিলেও মাঠপর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না।বনকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করায় বনজমি দখলের হিড়িক আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্হানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।খোজঁনিয়ে দেখাগেছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় বনবিভাগের বিভিন্ন বিটাঙ্চলে প্রতিদিন নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বনের জমি জবর দখল হচ্ছে।কোথাও কোথাও বনভূমি কেটে সমতল করে পাকা দালান থেকে শুরুকরে পোলট্রি ফার্ম ও নানা স্হাপনা গড়ছে অবৈধ দখলবাজরা।উখিয়া রেঞ্জ ও ইনানি রেঞ্জের অধীন প্রায় সিংহ ভাগ বিটে দখলবাজরা নিয়মিত পাহাড় কেটে পাহাড়ি বালু অবৈধভাবে বিক্রি করছে।সূত্র জানায়,বালু সিন্ডিকেট ও দখলবাজ চক্র এখন বনভূমি দখলে মহোৎসব চালাচ্ছে সেখানে।গত ৩ বছর ধরে উখিয়ার প্রভাবশালী ভূমিবাজরা বনজমি দখল করেছে দেদারচ্ছে।বনকর্তারা টহলে গিয়ে দখলের এ প্রক্রিয়া দেখেও না দেখার ভান ধরেছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ রয়েছে। তাদের আস্কারায় বেলাল ও মামুন নামের দুই সহোদর উখিয়া সদর বিটের অধীন প্রায় ৫ একর বনজমি দখলে নিয়ে সেখানে পাকা ডুপ্লেক্স ভবন নির্মাণের দুঃসাহস দেখিয়েছে।বনজমিতে ঐ ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে তারা সরকারি বনবাগানের যথেষ্ট ক্ষতি ডেকে এনেছে বলে স্হানীয়দের অভিযোগ। তারা আরো জানিয়েছে উখিয়া সদরের রাজাপালং ৫ নং ওয়ার্ডের ফলিয়াপাড়ার আবদু সালামের পুত্র বেলাল ও মামুন আমতলীর উঠনি এলাকার রাস্তার দূ’ধারে পৃথক এ দুটি ডুপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করে সেই ভবনগুলো ভাড়ায় খাটাচ্ছে।গত ৩ বছর ধরে চিহ্নিত এই বনভূমি দখলবাজরা ভবন নির্মাণ করে ভাড়া দিলেও সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা তাদের আইন প্রয়োগে রহস্যজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তবে ঐ বেদখলীয় জমির পাশ্ববর্তী প্রতিবেশিরা বলছেন বেলাল মামুনরা উখিয়া রেঞ্জের বনরক্ষী থেকে শুরু করে উবর্ধতন কর্তাদের ম্যানেজ করেই বনভূমি দখলের আয়োজন করতে পেরেছে।এ দু’সহোদর নিজেদের ডেকোরেশন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিলেও তারা এখন আপাদমস্তক বনভূমির দখলবাজ।শুধু ঐ এলাকায় নয় উখিয়ার আরো কয়েকটি বিট এলাকায় তাদের এমন ধ্বংসযঙ্গ চলছে বনজমি দখলে।তাদের বিরুদ্ধে দখলবাজির ভূরিভূরি অভিযোগ বনকর্তাদের কানে গেলেও বন আইন প্রয়োগে তারা টোটু জগন্নাথ। বনকর্তাদের এমন নিরবতায় শুধু বেলাল মামুন নয়, প্রায় অর্ধশতাধিক বনখেকো প্রভাবশালী তাদের দখল স্হায়ী করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানাযায়।স্হানীয় পরিবেশবাদী সচেতন মহল আরো জানিয়েছে উখিয়ার কিছু ভূমিদস্যু ইয়াবা কারবারে সক্রিয় হওয়ায় তাদের দোর্দন্ড প্রতাপ এখন এলাকায়।তাই কালো টাকায় বনজমি দখলে দুঃসাহস পাচ্ছে তারা।মোটা অংকের নজরানা পেয়ে বনকর্তারাও ভূমিদস্যুদের কাছে আইনপ্রয়োগ বিহীন আত্নসমর্পণ করছে প্রতিদিন।বনজমিতে ভবন নির্মাণে অভিযুক্ত বেলালের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান,এটি আমার খতিয়ানি সম্পত্তি।আমার জমিতে ভবন তুলেছি এতে কারো নাক গলাবার প্রয়োজন নেই বলে কটুবাক্য ছুঁড়ে দেন তিনি।এ প্রসঙ্গে স্হানীয় রেঞ্জকর্তা গাজি শফিউলের বক্তব্য ফোন বন্ধ থাকায় জানা সম্ভব হয়নি।তবে দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান,অভিযোগটি আমার জানা নেই।জনবল সংকটের কারণে হয়তো ঐ জমি বেদখলমুক্ত করা যায়নি।অতিশীঘ্রই ভবনটি উচ্ছেদ করে ঐ জমি কর্তৃপক্ষের দখলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

(সীমান্তবাংলা/ এন আলম আযাদ/ ২৬ জানুয়ারী২০)