৩০ টি বাসে করে উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে প্রায় ১৪০০ র অধিক রোহিঙ্গার যাত্রা

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

 

এম শহীদ উখিয়া থেকেঃ 

দ্বিতীয় দফায় স্বেচ্ছায় আরও ১ হাজার ৪ শ’ জনের অধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সোমবার সকাল ও দুপুরে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৩০টি বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা। এছাড়া তাদের নিরাপত্তার জন্য গাড়ি বহরে পুলিশের একটি গাড়ি এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল।

রবিবার বিকেলে সোমবার সকালে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের রাখা হয়।

৩৪টি ক্যাম্প থেকেই ভাসানচরে স্ব-ইচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা রোববার বিকেল থেকেই ট্রানজিট পয়েন্টে আসতে শুরু করে। সোমবার সকালেও ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা আসেন ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশে।

চলতি মাসের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন।

টেকনাফ নয়াপাড়া ও উখিয়ার কুতুপালংয়ের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ক্যাম্পের মাঝিরা বলেন, গতবারের উল্টো এবারের চিত্র। ওই সময় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে অনেক বোঝাতে হয়েছে। কিন্তু ২০ দিনের মধ্যে চিত্র পাল্টেছে। এবার রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে নিজেরাই আগ্রহী হয়ে তালিকায় নাম দিয়েছেন।

ভাসানচরে ৪ ডিসেম্বর যাদের আত্মীয়স্বজন গেছে, তাদের কাছে সুযোগ-সুবিধার খবর শুনেই অনেকেই যেতে আগ্রহী হয়ে উঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য ১১৩৪ জন রোহিঙ্গা আগ্রহ প্রকাশ করেন।আরো আগ্রহী অনেক রোহিঙ্গা স্ব-ইচ্ছায় শংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে নাম দিচ্ছে বলে রোহিঙ্গা নেতা হাফেজ জালাল আহমদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে এসব রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাচ্ছে। উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নুর জানান,ক্যাম্পে-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৮ ডব্লিউ ক্যাম্প থেকে যাচ্ছে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার। উখিয়ার কুতুপালং-৪ নম্বর ক্যাম্প থেকে ২৭ পরিবার । কুতুপালং-২ ডব্লিউ থেকে গেছে ১০০ পরিবার।

উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (ইস্ট) মাঝি নুরুল আমিন বলেন, ‘আমার ব্লক থেকে কয়েকটি পরিবার ভাসানচরে গেছে তাদের কাউকে জোর করা হয়নি।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাস।

একই ক্যাম্পের সাবেক মাঝি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘এ ক্যাম্প থেকে আবদুস সালাম ও আবুল হাশেম মাঝির পরিবারসহ বেশকিছু ঘর নোয়াখালীর ভাসানচরে গেছে। প্রথম দফায় যারা গেছে, তাদের কাছ থেকে সব সুযোগ-সুবিধার খবর জেনেই নতুন করে অনেকেই যেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে ভাসানচরে ১ হাজার ৯ শত রোহিঙ্গা বসবাস করছে।মালেশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফেরত আসা ৩০৬ জন ও চলতি মাসের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ভাসানচরে যাওয়া ১৬৪২ রোহিঙ্গা রয়েছে।

( সীমান্তবাংলা/ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০)