রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পাসপোর্ট ও পরিচয় পত্র: জতীয় নিরাপত্তার হুমকির মুখে 

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৩

 

মারজান চৌধুরী 

নির্বাচন কমিশনের এত বেশি কড়াকড়ি সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র কি করে পায়। সংশ্লিষ্ট দালাল ও জড়িত কর্মকর্তারা বেইমানি করছেন ৩০ লক্ষ শহীদের প্রিয় মাতৃভূমি দেশ ১৭ কোটি স্বাধীন বাংলার মানুষের সাথে।  এই প্রশ্ন খোদ নির্বাচন কর্মকর্তার। এ নিয়ে গঠিত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। দালাল ও অসাধু কর্মকর্তা হাত ধরে অন্তত দেশিয় পাসপোর্টসহ রোহিঙ্গা জাতীয় পরিচয় পত্র হাতিয়ে নিয়েছে।

জানা যায়, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেয়ার ইস্যুর কাজে জড়িত রয়েছে অসাধু কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি, পুরনো রোহিঙ্গা নেতাসহ স্থানীয় একাধিক দালাল চক্র। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত তদন্ত টিম তাদের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে। এই কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিবেন বলে জানা গেছে নির্ভর যোগ্য সূত্র। জানায়, ২০১৭ সালের আগে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ও জাতীয় সনদ হাতে পেয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে। ওইসব রোহিঙ্গা নিজেদের বাংলাদেশী নাগরিক দাবী করছে। যেমনটি দাবি করছে ক্যাম্পের বাইরে থাকা পাসপোর্ট ও জাতীয় সনদধারী অনেক রোহিঙ্গা। তারা নিজেদের নামে জমি,কিনে দালান কোটা নির্মাণসহ করছে ব্যাবসা করছে বৈধ -অবৈধ,শেষে স্থানীয় হিসেবে বসবাস করে চলেছে। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

সূত্র মতে, একই পরিবারের চার জন রোহিঙ্গা পাসপোর্ট সহ জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়েছেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা হলেন বর্মী নাগরিক আবুছিদ্দিক(৬৫) তার আছে জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট ছেলে হাফেজ হাসান উল্লাহ,শফি উল্লাহ, রহিম উল্লাহ,দীর্ঘ দরে তারা গোপনে চালাচ্ছে ইয়াবা ব্যাবসা। জাতীয় পরিচয় পত্র কারণে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচেতে যাতায়াত করতে কোন বাদা নেই কুতুপালং ক্যাম্পে ও চট্টগ্রামে থাকেন বলে গোপন সুত্রে জানা যায়। কক্সবাজারের রোমালিয়াছড়া, তারাবুনিয়াছড়া, পাহাড়তলী, পেশকারপাড়া, কলাতলী,উখিয়া,টেকনাফ,রামু,চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়াসহ এলাকায় অন্তত রোহিঙ্গা অনেক ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তারা হাতিয়ে নিয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র।