বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক বেলালকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২১

 

সীমান্তবাংলা নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আবুল হাসান বেলালকে আইনগত সহায়তাসহ সুরক্ষা প্রদানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ফাইলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ আইন-২ শাখা থেকে কার্যক্রম গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানাগেছে। এ সংক্রান্তে আজ ১৩ এপ্রিল আবুল হাসান বেলালকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, প্রশাসন-১ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার।

জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন ২০১১ এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান)বিধিমালা ২০১৭ দ্বারা সাংবাদিক আবুল হাসান বেল্লালকে আইনগত সহায়তাসহ সুরক্ষা প্রদানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ফাইলটি ১১ এপ্রিল মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের নিকট পাঠিয়েছেন উপ-সচিব মো.সাজ্জাদুল হাসান।

সিদ্ধান্তের বিষয়টি অবহিত করছেন উপ-সচিব মোহাম্মদ আসাদুল হক। তিনি ১১ এপ্রিল দুপুর ১:২৯ মিনিটের সময় সাংবাদিক আবুল হাসান বেলালকে ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং নির্দেশনাপত্রটিও ই-মেইলে প্রেরন করা হয়। দ্রুত আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রটেকশন দেয়া হতে পারে। তবে,দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে সাংবাদিক আবুল হাসান বেলালকে আইনগত সহায়তাসহ সুরক্ষা প্রদানের জন্য ইতিমধ্যে ২ জন উপ-পুলিশ পদমর্যাদার সাব ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক আবুল হাসান বেল্লাল একাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূয়া শিক্ষার্থীদের নামে উপবৃত্তি এবং কাজ না করে শ্লীপ বরাদ্দকৃত সরকারী অর্থ আত্মসাতের ঘটনার উপর অনুসন্ধানমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন এবং সরকারী অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনতে জনস্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশনে তথ্য প্রকাশ করেন। একই সাথে শিক্ষা বিভাগীয় তদন্তের জন্য আবেদন করেছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশন এবং শিক্ষা বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমানীত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে বিচারের জন্য আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছেন।

অপর দিকে শিক্ষা বিভাগীয় তদন্তেও অভিযোগ প্রমানীত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দুদকের মামলার আসামী সরকারী অর্থ আত্মসাতকারীরা নিজেদেরকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাচাঁতে আত্মসাতকৃত অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে অপরাধ শিকার করেছেন। দায়িত্ব ও কর্তব্যের আলোকে সরকারী অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় কতিপয় শিক্ষা কর্মকর্তারা জড়িত থাকার কারনে আইনী জটিলতায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে অসাধু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের ঈন্ধনে সাংবাদিক আবুল হাসান বেলাল ও তার সহকর্মী সাংবাদিক মো: নিয়ামুল হাসান নিয়াজের বিরুদ্ধে একাধিক হয়রাণীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে অনুসন্ধান সাপেক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে সাংবাদিক আবুল হাসান বেলালকে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ(সুরক্ষা প্রদান)আইন ২০১১ এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ(সুরক্ষা প্রদান) বিধিমালা ২০১৭ দ্বারা আইনগত সহায়তাসহ সুরক্ষা প্রদানের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে।

আবুল হাসান বেলালের বাড়ি বরগুনায়। সংবাদ প্রকাশের কারনে ঐ চক্রের অব্যাহত হুমকি এবং নিরাপত্তাজনিত কারনে তিনি ঢাকায় সাংবাদিকতা করছেন।

সরকারের এরুপ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত সাংবাদিকরা দুর্নীতি -অনিয়মের বিরুদ্ধে কলমের লড়াই করে যাচ্ছেন। সরকারের উচিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় সুরক্ষায় যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা।

সীমান্তবাংলা/ ১৩ এপ্রিল ২০২১