প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে এনজিও’র নিয়োগ প্রতারণা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে একটি এনজিও কর্তৃক নিয়োগ প্রতারনার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জামাল আহমেদ ওই এনজিও’র ৪জন কর্মকর্তার প্রত্যেককে ১৪ দিনের কারাদন্ড দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ছোট মোহরাজপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম মিলন(৪২) ও তার ছোটভাই ইমরান হোসেন, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের আখের উদ্দিনের ছেলে মনসুর হায়দার(২১)ও বোয়াইলমারী গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে শের আলী(৫০)। ইউএনও সাঁথিয়া জানান, নিয়োগ কর্মকর্তাদের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এই সাজা দেয়া হয়েছে।

এ দিকে সাজাপ্রাপ্ত নুরুল ইসলাম জানান, তারা নিজেরাই প্রতারনার শিকার। সাঁথিয়া উপজেলার কাশীনাথপুর গ্রামের জনৈক রাকিবুল ইসলাম শুভ তাদের জানান, ইউএনডিপির একটি প্রজেক্ট, বাংলাদেশে “বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের” (বিডিবিপি) মাধ্যমে খুলনা,রংপুুর ও রাজশাহী ৩টি বিভাগে কাজ হবে। ৩ বিভাগের প্রতিটি জেলা থেকে ২জন ও প্রতিটি উপজেলা থেকে ৪জন করে প্রায় ১ হাজার জনবল নিয়োগ করা হবে। তাদের বলা হয়েছে এই প্রকল্পের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা, তার কন্যা ও ভাতিজা সম্পৃক্ত। সে মোতাবেক তারা শুক্রবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা সদরে বোয়াইলমারী কামিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা নেন। পরীক্ষা চলাকালে তিনটি বিভাগের দূরদূরান্ত থেকে আগত প্রায় দেড় হাজার চাকরী প্রার্থীদের সন্দেহ হলে তারা তাৎক্ষনিক বিষয়টি সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। উপজেলা প্রশাসনকে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। এ দিকে ইউএনও’র আগমন খবর পেয়ে মূল ব্যক্তি রাকিবুল ইসলাম শুভ সহ অন্যান্যরা সটকে পড়ে বলে তারা জানায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, এ চক্রটি একটি ভূয়া এনজিও খুলে অবৈধভাবে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে আসছিল। এদেরকে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬ ধারায় তাদের প্রত্যেকক্রে ১৪দিন করে সাজা প্রদান করা হয়েছে। সাঁথিয়া থানা পুলিশ কারাদন্ড প্রাপ্তদের শনিবার পাবনা জেলখানায় প্রেরণ করেন।

টিনিউজ/আরএইচ