দুঃসাহসিক গোয়েন্দা ওসি ডিবি মোঃ আলী অভিযানেও সফল আইকন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২১

এন আলম আযাদ, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
বিগত বছরের সেপ্টেম্বরে জেলা পুলিশের টপ টু বটম অন্যত্র বদলির পর জেলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশের যুগান্তকারী ভুমিকার সূচনা ঘটে। পুলিশ বিভাগের এ শুদ্ধি অভিযান অবধারিত ছিল বলা চলে। এ বাহিনীর মুষ্টিমেয়দের অসাধুতায় সৎ ও কর্তব্য নিষ্ঠ কর্মকর্তাদের অর্জিত সুনাম প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায়।সর্বশেষ মেজর সিনহা হত্যাকান্ড পুলিশের দুর্নামের কপিনে শেষ পেরেকটি টুকে দেয়।শীর্ষ কর্তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড তদন্তে খোদ পুলিশও নড়েচড়ে বসে।এ প্রক্রিয়ায় প্রথমধাপে জেলা পুলিশের পুরো বেইচে রদবদল ঘটে।বিশাল এ বদলির আগে জেলা এসপি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ অন্য কর্তাদের ভিন্ন জেলা এবং ইউনিটে বদলির ডাক পড়ে।জেলা পুলিশের ইতিহাসে স্মরণকালের গণ বদলিতে এ বাহিনীর নিন্দুকেরাও পুলকিত হন।আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটির সর্বত্রে নতূনের রব উঠে জেলার শীর্ষ কর্তা সহ প্রতিটি থানা ও স্বতন্ত্র বিভাগ গুলোতে নতূন কর্তার পাশাপাশি অন্য পদেও দায়িত্ব অর্পণ করা হয় ভিন্ন জেলা থেকে বদলী হওয়া নতূনদের।প্রথমদিকে পুলিশের নতুন কর্মকর্তা ও সদস্যরা জেলার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞতা না থাকায় ২ মাস বেগ পেতে হলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ কান্ড দমনে বাহিনীর কঠোর পরিশ্রম এবং নানামুখী দক্ষতায় মনে হচ্ছে তাদের কাছে এ জেলার আদ্যেপান্ত চির চেনা।থানা পুলিশের সাথে সংঙ্গতি রেখে গোয়েন্দা ভিত্তিক ৩ টি বিভাগ ডিবি পিবিআই ও সিআইডির পেশাদারি দক্ষতা সেবাপ্রাপ্তি জনগণের মধ্যে আশার সঙ্চার করেছে।দায়িত্ববান কর্মকর্তা ও সদস্যদের কর্মকাণ্ডও দারুণ প্রশংসিত।আইনী প্রতিকার প্রার্থী জনগণের তথ্য এবং বিভাগ গুলোর অাভিযানিক কর্মকাণ্ডে প্রকৃত সেবাও কর্তব্য নিষ্ঠতার দালিলিক প্রমানও দৃশ্যমান।জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন অপরাধ দমন শাখা গোয়েন্দা বিভাগের সাম্প্রতিক অভিযানও তর্কবিতর্কের উদ্ধে।স্বল্প সময়ে সংস্থাটির এমন সুনামে শুভাকাঙ্ক্ষী মহলও উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় পঞ্চমুখ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাদের কর্মযজ্ঞে ধারাবাহিকতা অটুট রাখলে পুরো কক্সবাজার শান্তি শৃঙ্খলার মডেল হিসাবে দেশজুড়া খ্যাতি ও পরিচিতি কুড়াবে।তাছাড়া গরিমা বিশ্ব ব্যাপি ছড়িয়ে পড়বে।এতে করে পর্যটন খাতে সরকারের অর্থনৈতিক আয়ের দিকটিরও আমুল পরিবর্তন ঘটবে।পুলিশ বিভাগের উবর্ধতন কতৃপক্ষও তাই গোয়েন্দা পুলিশের লাইন আপে কর্মচঞ্চল ও পেশাদারিত্ব কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক থেকে সব পদেই সৎ ও ন্যায় নিষ্ঠদের পদায়ন করেছে।তাঁদের একজন শেখ মোঃ আলী।যিনি এখন কক্সবাজারে জেলার ওসি (ডিবি)।চট্টগ্রামের সন্তান এ পুলিশ কর্মকর্তা ইতিপূর্বের কর্মস্থলেও পেশাদারিত্ব অক্ষুন্ন রেখে সুনামের ভাগিদার।কক্সবাজারে বদলী হয়েও তিনি স্বভাবজাত নির্লোভ ভুমিকার দ্যুতি ছড়িছেন।অপরাধী শনাক্ত এবং প্রাত্যহিক দাপ্তরিক কর্মের সাহস ও স্বচ্ছতা প্রয়োগে এ সংস্থাটি রোল মডেল গড়ার অদম্য স্পৃহাও দৃশ্যমান।ওসি ডিবির কুশলী ও পেশাদারি মনোভাবে তার অন্যতম সহযোগী উপপরিদর্শক, সহপরিদর্শক ও কনেস্টবলরাও গুনগানে মুখর।নতুন ওসি ডিবি শেখ আলী তার দায়িত্বের বিগত আট মাসে প্রায় ৫০ টি মামলা রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে ৩৬টি মাদক, অস্ত্র, ছিনতাই,প্রতারণা জালনোট,পতিতাবৃত্তি ও মানব পাচার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার।এসব মামলার বাদি হয়েছেন তার অধস্তন কর্তারা।যদিও এসব আভিধানিক তৎপরতায় তিনি ছিলেন অগ্রভাগে।সব অভিযানেই উবর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে অসম সাহসিকতায় সঙ্গীয়দের কৌশলী ভুমিকা রপ্ত করিয়েছেন তিনি।ফলশ্রুতিতে এ সকল অভিযানে সফলতাও এসেছে অনায়াসে। কক্সবাজার শহরতলী সহ অদূরের চৌফলন্ডী ঘাটে বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে জেলার স্মরণকালের সেরা ইয়াবা বিরোধী অভিযানটির রুপকারও তিনি এবং। এজন্য তাদের নামটি অংকিত হয়েছে পুলিশের গুডবুকেও।নগদ টাকা সহ প্রায় ১শ কোটি টাকার মরণ নেশা ইয়াবা উদ্ধার ও অপরাধে জড়িতদের ৩ দফা অভিযানে হাতেনাতে ধরেছেন মাদক ব্যবসার বিগবস খ্যাত উত্তর নুনিয়া ছড়ার ফারুক ও তার সহযোগীদের।বড়সড় এ অভিযানটি পুলিশ বিভাগেরও দারুণ আলোচিত।৩ টি অভিযানে এ মামলায় হাতেনাতে ধরা পড়ে আরও ৫ জন।এদের সকলের ঠিকানা এখন জেলা কারাগার।আলোচিত এ অভিযান সহ মোট ২৩ টি মাদক বিরোধী অভিযানে অগ্রভাগে থেকেছেন ওসি ডিবি শেখ মোঃ আলী।তিনি গ্রেফতার আসামি ও গোয়েন্দা তৎপরতার এ কান্ডে সক্রিয় মাদক চক্রের অন্যদের আইনের কাছে সোপর্দ করেছেন।শুধুই কি তাই আগের পুলিশ ডিবিদের ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা কারবারে সম্পৃক্ত দাগি মাদককারবারীকে গোয়েন্দা জালে ধরাশায়ী করেছেন ওসি আলী।শহরের বাসটার্মিনাল, হোটেল মোটেল-জোন,নুনিয়া ছড়া,ডিককুল, খরুলিয়া,কলাতলী টার্মিনাল ও কুতুবদিয়া পাড়ায় পরিচালিত এসব অভিযানে ইয়াবা চক্রের নারী-পুরুষ রোহিঙ্গাদেরও আইনের শেকল পড়িয়েছেন। এসব পয়েন্টে এখনো গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে সুত্রের দাবি।গোয়েন্দা সংস্থাটি রাষ্ট্রীয় ক্ষতির বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্সে।জাল নোটের ব্যবসা ও হোন্ডি প্রথা দমনে চোখ কান খোলা তাদের।চলতি সালের জানুয়ারী মাসে জাল নোট সহ এ চক্রটির ২ জনকেও গ্রেফতার করেছে তারা। এ মামলাটির তদন্ত পক্ষও ডিবি। যার নং ৫৭।মানব পাচার ও পতিতা বৃত্তির বিরুদ্ধেও জেহাদ ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তার।হোটেল মোটেল জোন সহ শহরতলীর আরও কয়েকটি অভিযানে সফল হয়েছেন তিনি।এ কান্ডে হোটেল ও রিসোর্ট মালিকদেরও রক্ষা দেন না তিনি।নির্লোভ ওসি ডিবি অভিযান টের পেয়ে পালানো এ সবের মালিকদেরও মামলার আসামি করেছেন।এসব অভিযানে যৌন কর্মীর পাশাপাশি জন্মনিয়ন্ত্রণ কনডম ভয়ানক মাদক ইয়াবা ও দেশি-বিদেশি মদও উদ্ধার করা হয়।ছিনতাইকারী,প্রতারক চক্র ও জিনের বাদশা নির্মুলেও ওসি ডিবির রয়েছেন আন্তরিক সদিচ্ছা।ইতিমধ্যে কয়েক দফা অভিযানে ছিনতাই ও চোরাই কৃত মটর সাইকেল বিপুল পরিমাণ অত্যাধুনিক মোবাইল সেট ও দামী যন্ত্রাংশ উদ্ধারে সফল হয়েছে একইভাবে জিনের বাদশা খ্যাত টপক্লাস প্রতারককে ধরে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে।অভিযানে উদ্ধার গ্রেফতারে থেমে থাকেনি ডিবি পুলিশ। চিহ্নিত অপরাধীদের রিমান্ড ও জেল গেইটে জিজ্ঞেসাবদের মাধ্যমে অপরাধ ও অপরাধীর আদ্যপান্ত জানার চেষ্টা করছে শেখ মোঃ আলীর ডিবি পুলিশ। শহরের হোটেল মোটেল জোনে অব্যাহত পতিতা ব্যবসার বিরুদ্বে একাট্টা তারা।ফেব্রুয়ারী মাসে গ্রীণ রিসোর্টে ও পরের ২ মাসে আমির রিসোর্টে পরিচালিত অভিযানে ২ টি মামলাও করেছেন।যার একটি ৬০/২০২১ ও অপরটি ৫৯ /২০২১।এসব মামলায় ধৃতদের পাশাপাশি পলাতক আসামি করা হয়েছে রিসোর্ট মালিক সহ কয়েকজনকে।ইয়াবা বিরোধী অভিযানে বরাবরই সফল ডিবি পুলিশ।তার এমন দুঃসাহসিক অভিযান গুলো তৎসময়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় ফলো করে প্রচারও করা হয়েছিল।অভিযানের মাধ্যমে এসব মামলা গুলোর মধ্যে রয়েছে মামলা নং ০৭ তাং ৯/০১/২১ইং,মামলা নং ১৩ তাং ৩/১১/২০,মামলা নং ৪০ তাং ১৬/১১ ২০,মামলা নং ২৪/৩০৭ এর তাং ৮/৫/২১,মামলা নং ৩২/২০৮ তাং ২৩/৫ /২১,মামলা নং ৩৮ তাং ১৪/৩/২১,মামলা নং ৩১ তাং ১৩/০৩/২১,মামলা নং ০৪ তাং ৮/১১/২০,মামলা নং ৩০ তাং ১০/১২/২১,মামলা নং ২৯/৯০ তাং ১০/০২/২১,মামলা নং ০৯ তাং ৩/১১/২০ সহ আরো একাধিক মামলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তাধীন।শুধু শহরতলী নয় প্রত্যন্ত উপজেলায়ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে তৎপর গোয়েন্দারা।চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া, পেকুয়া ও সীমান্ত উপজেলা উখিয়া টেকনাফেও নিয়মিত অভিযান রয়েছে তাদের। ইতিমধ্যে কয়েকটি অভিযানে বিপুল মাদক সহ ক্রেতা বিক্রেতাকে ঘটনা স্হলেই হাতকড়া পরিয়েছে ডিবি পুলিশ।এসব অভিযানে মাদক কারবারিদের পাচারের অভিনভ কৌশলও শেখ আলীর বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলের কাছে হার মেনেছে।চালের বস্তা,টমটমের ইন্জিন বক্স ও চনাচুর বিক্রির আড়ালে ইয়াবা কারবার প্রতিরোধে বিরাট সফলতাও ওসি ডিবি এবং তার সঙ্গীয় বাহিনীর দখলে।দায়িত্বের প্রতি সুবিচার করছেন তিনি।কক্সবাজার ডিবির এই পরিদর্শকের প্রশংসনীয় নৈপুণ্যে একের পর এক অভিযানে সফল।২০০৬ সালে পুলিশ বাহিনীতে অভিষেক ঘটে এই চৌকস কর্মকর্তার।উপপরিদর্শক হিসাবে প্রথম পদায়ন পার্বত্য জেলা বান্দরবনে।প্রায় ৩ বছর সুনামের সহিত দায়িত্ব শেষে বদলী হন চট্টগ্রাম মহা নগরে।২০০৯ থেকে পরের বছর পর্যন্ত বায়েজিদ থানায় এবং ২০১৫ পর্যন্ত প্রায় ৫ বছর ডবলমুরিং থানায় একই পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।একই বছর পদোন্নতি পেয়ে তদন্ত ওসি ছিলেন ২০১৬ এর নভেম্বর পর্যন্ত।একই বছরের শেষ দিকে পুলিশের স্বতন্ত্র বিভাগ পিবিআই’র দক্ষিণ খুলশি জোনের তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।এ দায়িত্বের ২০ মাস পর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর ওসি ডিবির কক্সবাজার হিসাবে বদলী হন তিনি।চট্টগ্রামে মেট্রো পুলিশের দায়িত্বে থাকাকালে অসামান্য দক্ষতা বিচক্ষণতার জন্য তিনি ২০১৬ সালে আইজিপি পদক সহ চট্টগ্রামের মেয়র ও স্হানীয় সংসদ কর্তৃক সম্মাননা পদকে ভুষিত হন তিনি।কক্সবাজারের দায়িত্বকালে স্মরণকালের সেরা অভিযান সহ শতকোটি টাকার মাদক উদ্ধারের অবদান স্বরূপ শ্রেষ্ঠ ওসির মর্যাদাও পান শেখ মোঃ আলী।চট্টগ্রাম বিভাগে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তার গলা ডিআইজি কর্তৃক বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার পদকে শোসভিতও করেন।গোয়েন্দা কর্মকর্তা শেখ মোঃ আলীর জন্ম ফটিকছড়ির ধর্মপুরে।একটি সন্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান তিনি।পরিসংখ্যানের ছাত্র শেখ আলী ২০০২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী ও ২০০৪ সালে একই বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী প্রাপ্ত হন।তিনি রাজধানীর বেসরকারী সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশের চাকরি করাকালীন ২০১০ সালে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।এর পূর্বে ৯৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর সিটি কলেজ থেকে এইচএসসির গন্ডি উতরে যান এবং আগ্রাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯৩ সালে ষ্টারমার্ক সহ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি)উত্তীর্ণ হন।এদিকে ডিবির ওসির সাম্প্রতিক পেশাদারিত্বের ভুয়শী প্রশংসা করেছেন কক্সবাজার জেলা নাগরিক ফোরামের নেতা সাবেক কাউন্সিলর আবু জাফর ছিদ্দিকী।বলেছেন,এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা অপরাদী নির্মুলে পারঙ্গম।তবে তিনি এ কাজে স্হানীয় সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতার বিষয়টি উড়িয়ে দেননি।বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কক্সবাজার জেলা সভাপতি ও রুপালি সৈকত পত্রিকার সম্পাদক পরিবেশ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন,হিনহা হত্যার ঘটনায় এই বাহিনীকে নিয়ে জনমনে যেই বৈরি মনোভাব সৃষ্টি হয়েছিল তার কিছুটা পুরণে সক্ষম হয়েছে জেলার গোয়েন্দা সংস্হার এই দূরদর্শী কর্মকর্তার অপরাধ প্রতিরোধের বেশকিছু সফল অভিযান।শেখ মোঃ আলীর মত জেলার সব থানায় যদি এইভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা যায় তাহলে সীমান্ত জেলা এই কক্সবাজার অচীরেই মাদকের কলন্ক মুক্ত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।ওসি ডিবির অদম্য বিভিন্ন অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সর্বপ্রথম সাধুবাদ জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন,যে উদ্দেশ্যে ডিবিতে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে সেইটি ধরে রাখাই এখন উত্তম পন্থা।পুলিশ প্রশাসন গোয়েন্দা পরিদর্শকের উপর এ প্রক্রিয়ায় আস্হাবান।তাকে সফল অভিযানে প্রয়োজনীয় পরামর্শও আমরা দিচ্ছি। এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের শীর্ষ ব্যক্তি পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান (বিপিএম)ও শেখ নাদিম আলী কে তার সাহসিকতার জন্য প্রশংসা করেছেন।তিনি আরো বলেছেন, এ কর্মকর্তার কাছথেকে পুলিশ বিভাগ আরোও ভালোকিছু প্রত্যাশা করে।অসম সাহসী ও কৌশলী পরিদর্শক সেটি পারবেন আশাকরি।এক্ষেত্রে তিনি এ কর্মকর্তার পূর্বের কর্মস্থলের সারগর্ভ ফিরিস্তিও তুলে ধরেন।তাছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের লোক হওয়ায় তার পক্ষে এমন দুঃসাহসিক অভিযান ও আসামি গ্রেফতার সম্ভব যোগ করেন তিনি।এছাড়া তিনি তার পরামর্শ যথাযথ প্রতিপালনে ডিবির ওসির প্রতি সন্তুষ্ট বলেও এ প্রতিবেদককে জানান।

সীমান্তবাংলা / ২৫ জুন ২০২১