ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ : নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৩

 

রাজধানী ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসা গাড়িতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

গত রাত ২টার দিকে গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা এলাকায় এ ঘটনায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৩ নেতাকর্মী আহতের কথা জানিয়েছেন নেতারা। ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।

এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনকে দায়ী করেছে বিএনপি। ঢাকার ধামরাই থেকে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে পুলিশের আটকের কথাও জানিয়েছেন নেতারা।

বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশে থেকে ‘সরকার পতনের এক দফা’ দাবি ঘোষণার কথা বলছেন দলটির নেতারা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সমাবেশ থেকে তাদের আন্দোলনের ‘নতুন যাত্রা’ হবে।

টাঙ্গাইল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার রাতে যাত্রা শুরু করে। গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা এলাকায় তাদের ওপর হামলা হয়।

এতে অন্তত ১৩ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।”

আহতদের মধ্যে আছেন ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম মহব্বত, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ আজিজুর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব মির্জা, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শরীফ হোসেন, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম।

ধনবাড়ী বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।”

বিষয়টি গোপালপুর থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা ও ঢাকার নেতাদের জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যেহেতু ঢাকায় সমাবেশে নেতাকর্মীরা চলে গেছেন, তাই পরবর্তীতে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

গোপালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন ভুইয়া বলেন, “ঘটনার কথা শোনার পরই পুলিশের মোবাইল টিম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পায়নি।

পরে জেনেছি তাদের (নেতা-কর্মী) নাকি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কেউ থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি।”