আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকিতে ইসির ৩০৫ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩০৫ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট চার দিন প্রতি দেড় ঘণ্টা পরপর সারা দেশের নির্বাচনি পরিস্থিতি কমিশনকে জানাবে এই সেল।

বুধবার দুপুরে ইসির একটি সূত্র ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ধরনের মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটা আচরণবিধি মনিটরিং সেল। এই সেল দেখবে কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কিনা, সেটা হলে রিটার্নিং অফিসাররা কী করছেন। আরেকটি নির্বাচন ঘনিয়ে এলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কিনা, যে ফোর্স পৌঁছানোর কথা, তারা ঠিকমতো পোঁছেছে কিনা, নির্বাচনের দিন দেখা হবে ঠিকমতো নির্বাচন হচ্ছে কিনা, চলছে কিনা, গণণা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, রেজাল্ট ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, রেজাল্ট দিয়ে প্রিজাইডিং অফিসাররা ফিরছে কিনা, এগুলো মনিটরিং করবে

নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা ও প্রার্থীদের আচণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ৩০০ সংসদীয় আসনে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ইতোমধ্যে সারা দেশে দেড় শতাধিক প্রার্থীকে আচণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শোকজ করা হয়েছে। শোকজের তালিকায় রয়েছে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

 

এর আগে নির্বাচনী এলাকায় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনী এলাকায় ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি অর্থাৎ ভোটগ্রহণের আগের দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুদিন পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য নিয়োগ করা হয়।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধের পর এখন চলছে নির্বাচনি প্রচার, যা শেষ হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। একদিন বিরতি দিয়ে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ।