আমরা তো যথেষ্ট প্রার্থী দেখছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে অনেক জায়গায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক শক্তি-সামর্থ্য রাখেন। আশা করছি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান এসব বলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এই নির্বাচন কমিশনার।
এ সময় আনিছুর রহমান ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের পরিপত্রে পরিষ্কার লেখা আছে ভোটের দিন স্বাভাবিক কেন্দ্রগুলোতে ভোটের আগে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে। আর যেগুলো দুর্গম যেমন- চরাঞ্চল, পার্বত্য অঞ্চল, হাওরবেষ্টিত এলাকাতে রিটার্নিং অফিসার, তার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে একটা প্ল্যান পাঠাবেন আমাদের কাছে। সেখানে সম্ভাব্য দূরত্ব, সম্ভাব্য সময় এগুলো উল্লেখ করতে হবে। সেরকমগুলো আমাদের কাছে পাঠালে কমিশন এগুলো অ্যাপ্রুভ করে দিবে এবং সেগুলোতে যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে আগের দিনই পৌঁছাবে। যেহেতু আমরা ৩০ তারিখ পর্যন্ত ব্যালট পেপার ছাপাব এবং তারপরে আমরা পাঠানোর ব্যবস্থা করব। যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হলে কোথায় অভিযোগ করতে হবে এই প্রশ্নের উত্তরে আনিছুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে প্রথম জানাতে হবে। পাশাপাশি আমাদেরও (নির্বাচন কমিশন) জানাতে পারেন। আমরা জানলেও তাদের (রিটার্নিং কর্মকর্তা) কাছ থেকে রিপোর্ট নেব। একটা ঘটনা ঘটলেই তো শোনার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত বা অনুসন্ধানের প্রয়োজন হয়। যদি এরকম কেউ করে আমরা ছাড়া দেব না।
(ঢাকা টাইমস/২১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)