অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরে কওমী মাদ্রাসার প্রধানের পদ ছাড়লেন আহমদ শফী

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আর অভ্যন্তরীন দ্বন্দের কারনে হাটহাজারী কওমী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ ছাড়লেন শাহ আহমদ শফী।
শফিপুত্র আনাস মাদানীকেও ওই মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হয়েছেন শফীর অনুসারী আরেক শিক্ষক মাওলানা নূরুল ইসলামও। 

বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির শূরা কমিটির বৈঠকে শফী পদত্যাগ করেন এবং তার ছেলেসহ দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে শূরা কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন নানুপুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
এর মধ্য দিয়ে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় দৃশ্যত আহমদ শফীর সুদীর্ঘ দিনের কর্তৃত্বের অবসান ঘটল।
এই মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন আহমদ শফী, যাদের কাছে তিনি ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত।
এই কর্তৃত্বে তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশেরও (বেফাক) সভাপতি পদে রয়েছেন।
এছাড়া কওমী মাদ্রাসার কতৃত্ব নিয়ে হেফাজতে ইসলাম নামের আলোচিত সংগঠনের আমিরেরও দায়িত্বও তিনি পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ‘বড় মাদ্রাসা’ নামে পরিচিত আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা দেওবন্দের পাঠ্যসূচিতে পরিচালিত বাংলাদেশের অন্যতম বড় এবং পুরনো কওমি মাদ্রাসা। সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সেখানে অধ্যয়ন করে।

আহমদ শফী কয়েক দশক ধরে মাদ্রাসাটির মুহতামিম বা মহাপরিচালকের পদে ছিলেন। মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম বা সহকারী পরিচালকের পদে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী।

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ শফীর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে কয়েক মাস আগে বাবুনগরীর সঙ্গে শফী সমর্থকদের দ্বন্দ্ব বাঁধে। তাতে বাবুনগরীকে সরিয়ে দিয়ে শফী সমর্থকরা টিকে গেলেও তার রেশ থেকে গিয়েছিল।

সীমান্তবাংলা/ শা ম / ১৮/৯/২০২০