
মোসলেহ উদ্দীনঃ পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বিশেষ একটি অংশ উখিয়া- টেকনাফ। যেহেতু এখানে একদিকে যেমন রয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা, অন্যদিকে মিয়ানমার হতে আসা ১৩ লাখের ও বেশি রোহিঙ্গার বসবাস।
এসব প্রতিকুলতাকে সঙ্গী করেই উখিয়া টেকনাফের মানুষের বিভিষিকাময় জীবন যাপন। সাথে দ্রব্য মুল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি তো আছেই।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক বিভিন্ন সংস্থার যানবাহন সহ স্থানীয়দের মালিকানাধীন যানবাহন মিলে দৈনিক প্রায় হাজার খানেক গাড়ী উখিয়া টেকনাফের সড়ক দিয়ে চলাচল করে আসছে। যার কারনে প্রতিদিন এসড়কে জানঝট লেগেই থাকে, এমনও দেখা গেছে একবার জ্যাম লাগলে ২/৪ ঘন্টায় ও জ্যাম ছাড়ার সমাপ্তি দেখা যায়নি।
এসব সমস্যাকে কেন্দ্র করে এডিবি র অর্থায়নে নির্মিয়মান উখিয়া টেকনাফ সড়কের নির্মান কাজ শুরু হয়ে এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত নেই, শুরু হয়েছে নতুন গ্যাড়াকল। যেই রাস্তা প্রসস্থ করা হয়েছে অমনি রাস্তার দু ধারে বড় বড় ট্রাক সহ বিভিন যানবাহন পার্কিং করা থেমে থাকেনি। এ যেনো মরার উপর খাড়ার ঘা। রাস্তা বড় হওয়াতে স্থানীয়রা যে একটু স্বস্থির আশা করেছিলো তা যেনো তাদের আশায় গুড়ে বালিতে পরিনত হলো। উখিয়া, কোটবাজার, মরিচ্যাবাজারের ব্যস্ততম এলাকায় প্রতিদিন রাস্তার দু ধারে এসব গাড়ী পার্কিং এর কারনে আবার সেই জ্যামে নাকাল এলাকাবাসী। সমস্যার যেনো অন্ত নেই। তার চেয়ে আরো বিশাল সমস্যা যেটি সেটি হলো ধুলো আর কাদায় মিলে একাকার উখিয়া কোটবাজার মরিচ্যা সহ কক্সবাজার সহরের প্রধান ব্যস্ততম এলাকাগুলো। যার কারনে এই এলাকার জনসাধারনের মধ্যে ভবিষ্যতে মারাত্মক স্বাস্থহানির আশংকা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এই সমস্যার আশু সমাধান কল্পে স্থানীয় প্রশাসনের তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারন।
(সীমান্তবাংলা/ ১৫ অক্টোবর ২০২০)