সীমান্তবাংলা ডেস্কঃ
কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন লিংকরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৩ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম কারণ হচ্ছে মাদকাসক্তি। মাদকাসক্তির ভয়াল থাবা প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে ফেলছে। দেশব্যাপী মাদকদ্রব্যের বিস্তাররোধ এবং দেশের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাবের মাদক বিরোধী অভিযান দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৫, কক্সবাজার, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক কারবারী যাত্রী বেশে মার্শা পরিবহন নামক বাসে করে মাদকদ্রব্য গাঁজা নিয়ে চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজারের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকশ তল্লাশি টিম (০২ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার আনুমানিক ১ টার সময় কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ০৪ নং ওয়ার্ডস্থ লিংকরোড এলাকায় মেরিন সিটি মেগা শপিং কমপ্লেক্স এর সামনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হাইওয়ে সড়কের উপর চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে র্যাব ।
তল্লাশীর একপর্যায়ে উক্ত বাসটি চেকপোস্ট এর কাছে আসলে সিগন্যাল দিয়ে দাঁড় করিয়ে তল্লাশী শুরু করলে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা বাস থেকে নেমে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আসামী ১) আবুল কাশেম (৩৫), পিতা- মৃত মনির আহম্মদ, মাতা- মৃত সিরাজ খাতুন, ২)মোছাঃ সৈয়দা বেগম (৩০), স্বামী- মোঃ কাশেম, পিতা- মৃত সৈয়দ আহমদ, মাতা- রহিমা খাতুন, উভয়ই কলাতলী (ঝরঝরিপাড়া) ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দ্বয়কে আটক করে।
আসামীদেরকে পালানোর কারন জিজ্ঞাসা করলে তারা সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা জানায় তাদের নিকট মাদকদ্রব্য গাঁজা রয়েছে এবং সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী। পরবর্তীতে উপস্থিত জন সম্মুখে ধৃত পুরুষ আসামীকে পুরুষ দ্বারা এবং মহিলা আসামীকে মহিলা দ্বারা দেহ তল্লাশী করে সর্বমোট ২৩ (তেইশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করে কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট খুচরা ও পাইকারী বিক্রয় করে আসছে। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত মহিলা আসামী গাঁজাসহ পূর্বেও একবার র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
( সীমান্তবাংলা/ শা ম/ ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১)