ভোটের বিনিময়ে টাকা নয়, জনগণের প্রকৃত সেবক চাই 

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১

এম.কলিম উল্লাহ:

সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন আগামী ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রচারণা চলছে মাঠে-ঘাটে পথে প্রান্তে। বিরামহীন স্ব-স্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীরা। সারাদেশে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

সবমিলিয়ে উৎসবের ইমেজ সৃষ্টি হয়েছে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে।

 

প্রতিবারের ন্যায় এবারও নির্বাচনী মাঠে টাকার বিনিময়ে ভোট বেচা-কেনার আগাম খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।

সাধারণ ভোটারদের মাঝে নির্বাচন একটি উৎসবের কারণ হলেও অনেকেই এই নির্বাচনকে টাকা উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়াই সৎ, যোগ্য জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ টাকার কাছে অনেক সময় যোগ্য প্রার্থীরা হেরে যায় বলে জানিয়েছেন ভোটারেরা।

ভোটারদের অনেকেই জানেন না একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড মেম্বার এর মাসিক সম্মানীভাতা কত।

স্থানীয় সরকার ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ০৯/০৮/২০১৭ খ্রি: তারিখের আদেশ মতে, একজন

ইউপি সদস্য (মেম্বার) পাবেন: সরকারি অংশ ৩৬০০ এবং ইউপি অংশ ৪৪০০ সহ সর্বমোট ৮,০০০/- টাকা।

ইউপি চেয়ারম্যান পাবেন: সরকারি অংশ ৪৫০০ এবং ইউপি অংশ ৫৫০০ সহ সর্বমোট ১০,০০০/- টাকা সম্মানীভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সুতরাং একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ৫ বছরে মোট বেতন পাবেন ৬ লক্ষ টাকা এবং একজন ওয়ার্ড মেম্বার ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মাত্র।

উল্লেখ্য যে, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন নির্বাচন করতে গিয়ে ৪০-৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্তও ব্যয় করে থাকেন বলে জানা গেছে। কারণ অধিকাংশ ভোটারদের মনের কথা হলো, যে প্রার্থী আমাকে বেশি টাকা দিবে আমি তাকেই ভোট প্রদান করবো।

একজন চেয়ারম্যান ৫ বছরে বেতন পাবেন ৬ লক্ষ টাকা, আর নির্ভরযোগ্য তথ্য মতে নির্বাচনে ব্যয় হয় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। তাহলে বাকি ৪৪ লক্ষ টাকা কোথায় পাবেন এই প্রার্থী। এই নির্বাচনী ব্যয়ের ব্যাপারে ভোটারদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

তাদের কথা হলো, যে আমাকে বেশি টাকা দিতে পারবে অথবা বেশি চা, পান ইত্যাদি খাওয়াতে পারবে আমি তাকে ভোট দিবো।

সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করেন নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে

সৎ যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে প্রতিটি ইউনিয়ন কে একটি সুরক্ষিত পরিবার হিসাবে গড়ে তোলা।

ভোটারদের শপথ নেওয়ার এখনই সময়, আমি তাকেই ভোট দিবো যে জনগণের সেবার সৎ ও যোগ্য। নির্বাচনের পরবর্তী পাঁচ বছর সরকারের বরাদ্দকৃত সকল সুযোগ-সুবিধা শতভাগ মানুষের দ্বারে পৌছে দিবে।

তাই এবারের স্লোগান হোক, ভোটের বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা বা অনৈতিক সুবিধা নয়, আমি ভোট পরবর্তী পাঁচ বছর শতভাগ সেবা চাই।

মনে রাখবেন “আপনি যেমন হবেন, আপনার শাসকও হবে তেমন ” আপনি যদি দুর্নীতিবাজ হন তাহলে আপনার শাসকও হবে দুর্নীতিবাজ, এখন সিদ্ধান্ত আপনার হাতে।

সীমান্তবাংলা/রম/০৫ নভেম্বর ২০২১