ইরাকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২০

ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটি এইন আল-আসাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ।
আইআরজিসির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে জানায়, বুধবার ভোররাতে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে ঘাঁটিটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, কাসেম সোলাইমানির উপর আগ্রাসী মার্কিন সেনাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক হামলার কঠোর জবাব দিতেই এ অভিযান। অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে শহীদ সোলাইমানি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে,যদি আবার কোনো শয়তানি করা হয় কিংবা কোনো আগ্রাসন বা উসকানি চালানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে ওয়াশিংটনকে এর চেয়ে বেদনাদায়ক ও বিপর্যয়কর জবাব দেয়া হবে।

একইসঙ্গে বিবৃতিতে আমেরিকার যেসব মিত্র দেশ তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যে দেশের ভূমি থেকেই ইরানের ওপর হামলা চালানো হবে সেই দেশকে শত্রু দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে তার ওপরও আক্রমণ চালানো হবে।

গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানি নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ৬ জানুয়ারি সোমবার সকালে যখন জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত এ জেনারেলের জানাজা নামাজের নেতৃত্ব দেন।

এরপর এ হত্যাকাণ্ডের কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন খামেনি। প্রতিশোধ নেয়ার পণ করেছেন ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহও। অন্যদিকে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করা হলে ইরানের ওপর আরো হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে।