সিরাজগঞ্জে চৌহালীতে যমুনার ভাঙ্গনের কবলে শিক্ষা প্রতিষ্টান।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৩

 

মোঃ লুৎফর রহমান লিটন
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনার অব্যাহত ভাঙ্গনে বাঘুটিয়া ইউনিয়নে প্রায় এক ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গন হুমকিতে রয়েছে। নদী ভাঙ্গন তীব্রতায় চরসলিমাবাদ ভুতের মোর এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘর বাড়ি, দোকান পাট ও রাস্তা লন্ডভন্ড।
ভাঙ্গন কবলে পরেছে চরসলিমাবাদ দক্ষিণ পারা সপ্রাবি পয়লা দাখিল মাদরাসা পয়লা উচ্চ বিদ,চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজ কবরস্থান বাকুলিয়া সপ্রাবিসহ বেশ কিছু শিক্ষা অঙ্গন ও বসতি।
নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে অনেকেই গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে ঘর এঙ্গা দিয়ে অতিকষ্টে বসবাস করছে এবং স্কুল এর টিন সরিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তা ও বাড়ির উঠানে রাখা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চর সলিমাবাদ গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এলাকার স্কুল ভেঙ্গে যাওয়ায় ও ভাঙ্গন কবলিত এ সব কমলমতি শিশুদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে দরকার জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে শিক্ষকরা বলছেন, নদীর পারঘেষা বিদ্যালয়ে আগে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল এখন ৫০ থেকে দের’শ শিক্ষার্থী রয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে চৌহালীর খাষপুখুরিয়া হতে চর সলিমাবাদ পযন্ত নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ ২ জুন উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ বন্ধ হওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দেয়। ফলে আতংকিত এলাকাবাসি।
চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর হক বলেন, আমার এ শিক্ষা অঙ্গন একাধিক বার ভাঙ্গন কবলে পরেছে, বহু কষ্ট করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে পাঠদান সচল রাখা হয়েছে। এখন আবার হুমকির মুখে পরেছি, দ্রুত বাঁধের কাজ না হলে চরসলিমাবাদ ভুতের মোর এলাকায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী গর্বে বিলীন হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, জিও ব্যাগ ডাম্পিং বরাদ্দ জরুরি হয়ে পরেছে, ডাম্পিং কাজ আরও গতিশীল আর নদীর তীর সংরক্ষণে স্থায়ীবাধ বাস্তবায়ন করা জরুরি হয়ে পরেছে। জিও ব্যাগ দ্রুত বরাদ্দ দেয়া না হলে স্কুল থাকবে না,বন্ধ হয়ে যাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।