বৃহস্পতিবার, ০৪ Jul ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ

নরসিংদীতে দুই মাসের ওভারর্টাইম এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে থার্মেক্স গ্রুপের আদুরি গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
রোববার (৩০ জুন) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার কারারচর (বড়ইতলায়) ফ্যাক্টরির সামনেই অবরোধ করে রাখে তারা। এসময় মহাসড়কের ওপর কাঠ ও টায়ার দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে তারা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লার আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

শ্রমিকরা জানায়, গত দুই মাস ধরেই ওভারটাইমের বকেয়া পরিশোধ করছেন না কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগেও দেই, দিচ্ছি করে আর তা পরিশোধ করেননি। বরং দাবি উঠলেই নানা অযুহাতে শ্রমিকদের ছাটাঁই করা হতো শ্রমিকদের। এসবের প্রতিবাদেই ফুসেঁ উঠে শ্রমিকরা। এদিকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই প্রান্তে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় দূরপাল্লার যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়। কিছু কিছু যাত্রী এ সময় বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পার হতে দেখা যায়।

আকাশ চৌধুরী নামে এক শ্রমিক বলেন, আমাদের দুই মাসের ওভারটাইমের বকেয়া আছে। কর্তৃপক্ষ সেই বকেয়ার টাকা প্রতিদিনের দিবেন বলে জানায়। কিন্তু আমরা নিতে গেলে আর আমাদেরকে দেওয়া হয় না। এজন্য আজকে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, ৩ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার
আন্দোলনের খবর পেয়ে বিকেল ৬টায় ফ্যাক্টরিতে আসেন থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদির মোল্লা। এসময় তিনি শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে বলেন, সোমবার ব্যাংক খোলা থাকলে শ্রমিকদের বকেয়া ওভারটাইমের মধ্যে এক মাসেরটা দেওয়া হবে। আর ব্যাংক খোলা না থাকলে মঙ্গলবার পরিশোধ করা হবে। চলতি মাসের বকেয়া ওভারটাইম আগামী মাসে বেতনের সঙ্গে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আর প্রতিমাসে ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধও করা হবে বলে জানান কাদির মোল্লা।

পরে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তোলে নেয় শ্রমিকরা। এরপর মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন বলেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা দু-পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করি এবং শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করার আশ্বাস দেন মালিকপক্ষ। এর পরেই শ্রমিকরা আন্দোলনে থেকে সরে দাড়ায়।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ

Design & Developed by Ecare Solutions