পারভেজ মামুন”চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে ধারণক্ষমতার সাতগুন বন্দী রয়েছে। সেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট বন্দী রয়েছে ১১২৩ জন। এর মধ্যে নারী রয়েছে ২৮ জন। বাকি সব পুরুষ। জেলের ভিতর জায়গা ছোট হওয়ায় গাদাগাদি করেই থাকতে হচ্ছে বন্দীদের।
এরপরও সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ হতে বন্দীদের করোনা প্রতিরোধে টিকা দেয়ার এখনও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে মহামারি করোনার টিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বন্দীর স্বজনরা। এর আগে কারাগারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার কারনে আতঙ্ক আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দীদের স্বজনরা।
যদিও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে এখনও করোনা রোগী সনাক্তের কোন খবর পাওয়া যায়নি। শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মাষ্টারপাড়ার এলিনা খাতুন নামে এক নারী জানান, প্রায় আড়াই মাস ধরে তাঁর ছেলে আবিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে বন্দী রয়েছে। তাঁকে করোনা প্রতিরোধে এখনও টিকা দেয়া হয়নি। মায়ের আশঙ্কা যে কোন মূহুর্তে ছড়াতে পারে মহামারি করোনা। তিনি বন্দীদের টিকা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
গোমস্তাপুর উপজেলার নয় দিয়াড়ি গ্রামের আশরাফুল ইসলাম সীমান্ত বাংলাকে বলেন,একটি মামলায় তাঁর ভাইয়ের সাজা হয়ে এক বছর যাবৎ কারাগারে বন্দী রয়েছে। এখনও তাঁকে টিকা দেয়া হয়নি। তাঁর দাবি-কারাগারের ভিতরে একজনের থাকার জায়গাতে চার থেকে ৬ জন পর্যন্ত থাকতে হয়। এ ছাড়া বাইরে হতে নতুন বন্দী কারাগারে যাচ্ছে আবার জামিনে ছাড়া পেয়ে ভিতর হতে বের হয়ে আসছে অনেক বন্দী। এক সঙ্গে এত বন্দী থাকার কারনে যে কোন মুহুর্তে ছড়াতে পারে করোনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ বে সরকারি কারা পরির্দশক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইয়াসমিন সুলতানা রুমা সীমান্ত বাংলাকে জানান,করোনার কারনে সব বন্দী আসামীকে আদালতে তোলা হয়না। শুধু মাত্র নতুন এবং রায়ের দিন ধার্য থাকে তাঁদের আদালতে আনা নেয়া করা হয়।
করোনার কারনে আমি কমিটির সদস্য হয়েও প্রায় দেড় বছর কারাগার পরিদর্শন করতে পারিনি। জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মো.হাবিবুর রহমান সীমান্ত বাংলাকে জানান, বন্দীদের করোনার টিকা দিতে এখনও আমাদের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা.জাহিদ নজরুল চৌধুরি সীমান্ত বাংলাকে জানান,সরকারের পক্ষ থেকে একনও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে টিকা দেয়ার নির্দেশা আসেনি। আমরা শুধু রেজিস্ট্রেশনকারিদের টিকা প্রদান করছি। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা আসলেই কারাগারের বন্দীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হবে।
সীমান্তবাংলা / ২ নভেম্বর ২০২১
