গাঈবান্ধা -৫ আসনের উপ- নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করলেন ইসি 

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২

 

ডেস্ক রিপোর্ট ;
কেন্দ্র দখল, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ ভোট জালিয়াতি ও ভোট কেন্দ্র থেকে বিরোধী পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে’ বলার কয়েক ঘণ্টা পর এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না বলে ও জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন যে গোপন কক্ষের ভেতরে- বাইরে লোকজন আসা যাওয়া আসা করছে। তিনি আরো বলেন, “কেন এমনটি ঘটলো তা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো যাবে না।”

এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধার ৪৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

এদিকে, জাতীয় পার্টি (জাপা) সহ চার বিরোধী প্রার্থীই ভোট জালিয়াতি এবং ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে উপ-নির্বাচন বর্জন করেছেন। আজ (১২ অক্টোবর) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ভোট বর্জনকারী চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টি থেকে এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও মাহবুবুর রহমান। অবিলম্বে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এ আসনে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান তারা।

সকাল ৮টায় সাঘাটা উপজেলার ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলার ৫৭টিসহ মোট ১৪৫ টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোট শুরু হয়।

এবারই প্রথম ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ আসনটিতে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ভোট শুরুর সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনটির প্রার্থী নির্বাচনে ভোট দেবার কথা ছিলো ১৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৪ জন ভোটারের।