নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আর একদিন পরই উখিয়া উপজেলার বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার আজ শেষ দিন। শেষ সময়ে ও চলছে জোরে সোরে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। এই সময়েও ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা, দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি আর বিভিন্ন আস্থা আর সুসংবাদ। উখিয়া উপজেলার পালংখালী, রাজাপালং, রত্না পালং, হলদিয়া পালং ও জালিয়া পালং এই পাচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে অত্র এলাকার জনসাধারণের মাঝে চলছে খুশির আমেজ, যা অতীতের বেশ কয়েকটি নির্বাচনে লক্ষ্য করা যায়নি। এই ইউ পি নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের প্রতীক্ষা আর আশা আকাখাংকার যেনো শেষ নেই। ভোটাররাও প্রস্তুত তাদের পছন্দের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করে নিতে। তবে কে হতে যাচ্ছেন কোন ইউপি’র অভিবাবক সেটাই এখন দেখার বিষয়।
১১ নভেম্বর অনুষ্টিতব্য ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে হলদিয়া পালং ও রত্না পালং এই দুই ইউপিতে ছোট খাটো কিছু অঘটন ঘটলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন তা শক্ত হাতে দমন করতে স্বমর্থ হয়েছেন এবং উক্ত ইউপি তে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সতর্ক থাকার ও নির্দেশ দিয়েছেন।
ভোটারদের নিরাপত্তাসহ শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তায় ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর টহল টিম সহ পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি মাঠে কাজ করবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সুত্র।
এ বিষয়ে পাচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, কিছু কিছু কেন্দ্র নিয়ে শংকায় থাকলে ও প্রশাসনের সহযোগীতায় তারা একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করেন। এবং উভয়ই বিজয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে শেষ মূহুর্তে নির্বাচনী এলাকা গুলোতে জোরেসোরে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। চেষ্টা করছেন ভোটারদের মন জয়ের। তবে পাচটি ইউনিয়নের মধ্যে যে ইউনিয়নটির নির্বাচনের দিকে সবার নজর সেটি হলো উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন। কারন এই ইউনিয়নটির সাথে জুড়ে আছে উপজেলা পরিষদ, উখিয়া থানা, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ আরো বেশ কিছু বিষয়, সেদিক থেকে সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই ইউনিয়নে। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই বাঘা পরিবারে দু সন্তান। একজন মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান, দুবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, কক্সবাজার -৪ আসনের সাংসদ শাহীন বদি’র ছোট ভাই, রাজাপালং ইউনিয়নের উন্নয়নের কান্ডারী, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী (নৌকা) প্রতীকে, অন্যদিকে রাজাপালং এর সাবেক চেয়ারম্যান শাহ কামাল চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর ভাইপো সাদমান জামি চৌধুরী ( ঘোড়া) মার্কা প্রতীকে। এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে উভয়ের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্ভি, তারা বলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে দুজনের মধ্যে, তবে এখন দেখার বিষয় জনগন কার হাতে তুলে দেয় অত্র ইউনিয়নের দায়ভার।
নির্বাচন কমিশন শতভাগ আশাবাদী নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে এবং সব ধরনের প্রস্তুতি ও প্রায় শেষ বলে জায়িয়েছেন কমিশন সুত্র।
সীমান্তবাংলা/রম/০৯ নভেম্বর ২০২১