সীমান্তবাংলা ডেস্ক ■ আজ শুক্রবার, ১৪জুন থেকে পবিত্র হজ্বের আনুষ্টানিকতা। এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ্ব পালনের উদ্দ্যেশ্যে সৌদি আরবে গেছেন যাদের মধ্যে বাংলাদেশী রয়েছেন প্রায় ৮৬ হাজার।
প্রথমে হাজীরা মিনায় অবস্থান করবেন যেহেতু সেখানে অবস্থান করা সুন্নত। এরপর আরাফাতের ময়দান, মুজদালিফা, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ডন, সাফা-মারওয়া সায়ী, তাওয়াফ, দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে ১৮ জুন শেষ হবে ৫ দিনের হজের কার্যক্রম।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুক্রবার থেকে শুরু হলেও অনেক হজযাত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁবুর শহর মিনায় নেয়া শুরু করছেন মুয়াল্লিমরা। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন হাজিরা। মিনায় গিয়ে হাজিরা নিজ নিজ তাঁবুতে ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন।
এরপর ৯ জিলহজ সকাল থেকে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করবেন হাজিরা। এদিন দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। মূলত এদিনকেই হজের দিন বলা হয়। দিনটি ইয়াওমুল আরাফা হিসেবেও পরিচিত। এরপর হাজিরা আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন।
১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে যাবেন হাজিরা। সেখানে তারা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সায়ী করবেন। এরপর হাজিরা আবার মিনায় ফিরে ১১ এবং ১২ জিলহজ সেখানে অবস্থান করবেন। এ সময় প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।
এবার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একইসঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন।
© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Leave a Reply