আহসান হাবিব স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ৮ নম্বর চলন্ত বাস থেকে যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার পর আবু সায়েম মুরাদ (৩৫) নামে এক বাস যাত্রী মারা গেছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন দিয়েছে।
বাসের চালক-শাহআলম (৪৫) ও হেলপার মহন(২২)কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছেন। এসময় যাত্রাবাড়ী থানার নুরে আলম নামের কনষ্টেবল আহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কের রোডে টনি টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় আবু সায়েম মুরাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবু সায়েম মুরাদ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর ১০২/২/এ শহীদ ফারুক সড়ক এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম হেদায়েত উল্লাহর (মৃত) ছেলে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে মুরাদ ছিলেন তৃতীয়। সে মতিঝিল নিক বায়িং হাউজে চাকরি করতেন।
বাসের যাত্রী কালাম জানান, বাসযাত্রীূ মুরাদ মতিঝিল থেকে যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশ্যে ৮নম্বর বাসে উঠেন। বাসের কন্ট্রাকটার মহন যাত্রী মুরাদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ৫টাকা দাবী করেন। মুরাদ ৫টাকা দিতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে বাসের ভিতর তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
পরে বাস শহীদ ফারুক সড়কে ঢুকলে মুরাদ বাসের গেইটে যায়। এক পর্যায়ে শহীদ ফারুক সড়কের টনি টাওয়ার বরাবারে বাস আসার পর বাসের হেলপার চলন্ত বাস থেকে মুরাদকে ধাক্কা দেয়। এসময় মুরাদ ওই বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়ে গটনাস্থলেই মারা যায়।
মুরাদের বড় ভাই আবু সাদাত সায়েদ বলেন, ‘মুরাদ মতিঝিলে একটি বায়িং হাউজে চাকরি করত। বিকেলে ৮ নম্বর বাসে করে মতিঝিল থেকে যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরছিল। শহীদ ফারুক রোডে বাসের কন্ডাক্টর তাকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এরপর ওই বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে মুরাদ মারা যায় ।’
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় মুরাদ নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এসময় উত্তেজিত জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেন এবং বাসের চালক ও হেলপারকে গণপিটুনি দেয়। বাসের চালক শাহআলম ও হেলপার মহনকে আটক করা হয়েছে। মুরাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।