হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (র)বালিকা মাদ্রাসা ভবনের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন ও দোয়া মাহাফিল সম্পূর্ণ।

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২২

 

ওমর ফারুক উখিয়া থেকে ;

গত১৫ই মার্চ ২০২২ইং কক্সবাজার জেলা উখিয়া উপজেলার অন্তর্গত ৫নং পালংখালী ইউনিয়নে’র থাইংখালী উত্তর জামতলী মহিলা হাফেজিয়া ও কাওমি মাদ্রাসা’র টিনশেড ভবনের নির্মাণের কাজ উদ্বোধন ও দোয়া মাহাফিল আয়োজন করা হয়।

উক্ত উদ্বোধন ও দোয়া মাহাফিলে উপস্থিত ছিলেন, থাইংখালী মাদ্রাসা দারুত তাহযিব এর পরিচালক মাওলা আব্দুস সাত্তার সাহেব, আল- জামিয়া আল- ইসলামিয়া টেকনাফ মাদ্রাসার সাবেক মুরব্বি মাওলানা মোঃ শফি সাহেব, টেকনাফ গোদারবিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আজিজুল হক,এলাকার প্রবীণ মুরব্বি হাফেজ এজাহার ও সাবেক মেম্বার আব্দু শুক্কুর সাহেব,থাইংখালী আজিজুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মোঃইউনুস, জামতলী দারুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক মৌঃ মো মুদ্দাস্সির ও টেকনাফ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক তাহের নাঈম প্রমূখ।

অতিথিরা এক পর্যায়ে বলেন,কক্সবাজার জেলা দক্ষিণ উখিয়া থানা আওতাধীন পালংখালী ইউনিয়ন এর জন্য গৌরবের বিষয় হলো মহিলাদের সুশিক্ষিত সমাজ গঠন করার জন্য মাওলানা সেলিম একটা হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেন,উক্ত প্রতিষ্টানটি গত ২০২০সালে প্রতিষ্টিত সে দেড় বছরে উখিয়ার যতটুকু সুনাম অর্জন করছে যা অতুলনীয় ।

আরো বলেন, ইসলাম নারী শিক্ষার বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর রয়েছে সমান শিক্ষার অধিকার। মূলত ইসলামে ঘোষিত হয়েছে শিক্ষা দীক্ষা পাওয়া শুধু নারীর অধিকারই নয় বরং তার ওপর ফরয। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নর নারীর উপর আবশ্যক”।

সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াআল্লাহু আনহুম আজমায়ীন তাদের কন্যাদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর এক প্রকৃষ্ট উদাহরন হলেন উম্মুল মুমিনীন হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)। যিনি আরবি সাহিত্যে যেমন পারদর্শী ছিলেন তেমনি চিকিৎসা শাস্ত্রেও হয়ে উঠেছিলেন সমান পারদর্শী। হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা) গণিত শাস্ত্রে এতখানি পারদর্শী ছিলেন যে, হযরত ওমর (রা) এর মত জালীলুল কদর সাহাবী তাঁর কাছ থেকে মিরাসের মাসয়ালা ও হিসাব জেনে নিতেন। এছাড়া যুক্তিবিদ্যায়ও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ফিক্হ শাস্ত্রে ও অর্জন করেছিলেন সুগভীর পান্ডিত্য ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে, তৎকালীন নারী সমাজ লেখার নিয়মকানুন সম্পর্কে এতখানি ওয়াকিবহাল ছিলেন যে গুরুত্বপূর্ণ পত্রাবলি ও বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল লিখে রাখতে তাদের কোনো অসুবিধা হতো না। বর্তমান ফিতনার যোগে মহিলাদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলা না হলে আদর্শ সন্তান,আদর্শ সমাজ গঠন কখনো সম্ভব নয়।

এক পর্যায়ে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল হাফেজিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি একটা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার। পরিশেষে মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার জন্য এক পায়ে দাড়িয়েছে,এখন মাদ্রাসায় কাজ চলতেছে,আমি শোকরানা কামনা করছি মহান আল্লাহর দরবারে যে,আল্লাহ তায়ালা,এমন একটা জাগাতে আল্লাহর দ্বীন শিক্ষার এমন একটা ব্যবস্তা করাচ্ছে।

মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা সেলিম বলেন, এই মাদ্রাসাটি গত ২০সালে প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে এই বছর পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ পর্দা সহকারে ছাত্রীদের পাঠ দান করা হয় ও সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ছাত্রীদের থাকা, খাওয়া, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ ইত্যাদি সুযোগ দিয়া হয়।

গত কয়েক মাস আগে পরিকল্পনা করি, উখিয়াতে একটা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার জন্য।সাথে স্থানিয় ব্যক্তি ওউলামায়ে আকরামের পরামর্শ মত কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আমি আশাকরি যে, উক্ত মাদ্রাসা সঠিক নিয়ম মোতাবেক কাঠামো মেনে ছাত্রীদের লেখা পড়া করানো হয়বে।

বর্তমানের মাদ্রাসার আবস্তা সম্পর্কে বলেন,গত দেড় বছরে মাদ্রাসায় ৫জন ছাত্রীকে দস্তুর দিয়া হলো ও আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বিদায় দিয়া হলো বর্তমান ছাতী সংখ্যা ৪৫জন, ইনশাআল্লাহ আগামী থেকে ৩-৪হাজার ছাত্রী পড়ার মত সুযোগ হবে এই কামনা করি৷

সে উদ্ভোধন ও দোয়া মাহাফিলে হাফেজ ইউনুস এর সঞ্চালনায় মাওলানা আব্দুস সাত্তার এর দোয়া ও মুনাজাত এর মাধ্যমে শেষ করা হয়।

সীমান্তবাংলা / ১৫ মার্চ ২০২২