সর্বজনীন পেনশন স্কিম দরিদ্র জনগোষ্ঠী মেহনতী মানুষ তথা শ্রমিক মজুরের প্রত্যাশা পূরণ করেনি : সিপিবি(এম)

SIMANTO SIMANTO

BANGLA

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৩

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী)—সিপিবি(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ ও  সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান আজ ১৮ আগস্ট ২০২৩ এক বিবৃতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কে শুভংকরের ফাঁকি ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য প্রকৃত সর্বজনীন করে তোলা হয়নি দাবি করে সার্বজনীন করে তোলার জন্য বেসরকারী ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক এবং দারিদ্র জনগোষ্ঠীর স্কিমে অংশগ্রহণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, শ্রমজীবী মানুষের আকাংখিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কার্যক্রম আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ঘোষিত বিধি শ্রমজীবী দরিদ্র সমাজের অনগ্রসর মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। পেনশন স্কিমের বিধিতে বলা হয়েছে বেসরকারি খাতের কর্মচারীরা এই স্কিমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে মাসিক প্রিমিয়ামের অর্ধেক কর্মচারী এবং অর্ধেক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে। কিন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ অংশ গ্রহণে অস্বীকার করলে তাদের শাস্তির বিধান রাখা হয়নি।

নেতৃদ্বয় বলেন, শ্রমশক্তির ৮৫ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের নিয়মিত কাজ থাকে না, থাকে না নিয়মিত আয়, ফলে যাদের কাছে দৈনিক জীবিকার সংস্থান নিশ্চিত করাই দুরহ তাদের কাছ থেকে কমপক্ষে ১০ বছর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রিমিয়াম জমা হওয়ার প্রত্যাশা অতি কল্পনা বৈকি!

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, পেনশন স্কিমের বিধিতে ১৮ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত বয়স সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাধারণভাবে ১৮ বছর বয়সে কাজে যোগ দেওয়ার অবস্থা নেই দেশে। অপর দিকে মানুষের গড় আয়ু যেখানে ৭২ বছরের উপরে এবং একটি বিশাল জনগোষ্ঠী যাদের সামাজিক সুরক্ষা বলয়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন তাদের বাদ দেওয়া হলো।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, দেশে মোট কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি যার মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা মোট কর্মক্ষম মানুষের প্রায় ৭০ শতাংশ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের সংগঠন ট্রেড ইউনিয়নের কোনো প্রতিনিধি কে গঠিত পেনশন স্কিম কর্তৃপক্ষে রাখা হয়নি।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাসিক সঞ্চয় স্কিমের আলোকে দিলে তা চুড়ান্ত অর্থে শ্রমজীবী মানুষদের হতাশ করবে। নেতৃবৃন্দ দাবি জানান, রাষ্ট্র সরকারী কর্মকর্তা—কর্মচারীদের বার্ধক্যে যেভাবে আর্থিক নিরাপত্তা দিচ্ছে। যারা শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে বিকশিত করছে, সেই শ্রমজীবীদেরও বার্ধক্যের সুরক্ষা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য দাবি করছি।