মোসলেহ উদ্দিন ■ কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানে(এপিবিএন) কর্মরত একজন পুলিশ সদস্য কে ২০ হাজার ইয়াবা সহ আটক করেছে কক্সবাজার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বুধবার, ৫ জুন বিকালে কক্সবাজার- চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডে ইয়াবার চালানসহ আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কয়েক মাস একই স্থানে কর্মরত এপিবিএনসহ অন্যান্য সরকারি বেসরকারি ও সেবা সংস্থার সদস্যদের অনেকেই এরকম ইয়াবা কারবারসহ নানা অপরাধজনক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। দেখাগেছে, এখানে একটানা দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে চাকরি বা কর্মক্ষেত্র হওয়ার সুবাদে রোহিঙ্গা চোরাচালানী ও অপরাধীদের সাথে সুখ্যতা গড়ে উঠে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো সীমান্তের নিকটস্থ এলাকা হওয়ায় মাদকসহ নানা অপরাধের অভয়ারণ্য পরিনত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থার অনেক সদস্য কয়েকমাস কর্মরত থাকার সাথে সাথেই কোন না কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। গেল ২০২২ সালে এপিবিএনের এক সদস্য এক রোহিঙ্গা নারীর সাথে প্রেমে জড়িয়ে সর্বশেষ উখিয়াস্থ আবাসিক আরাফাত হোটেলের ৩০১ কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। পরে ওই নারীর অপমৃত্যু মামলা রুজু করে ঘটনা দফারফা করা হয়। ওই ঘটনায় হোটেলের ম্যানেজার ও এপিবিএন সদস্য সম্পৃক্ত আছে কিনা পিআইবি ও সিআইডি তদন্ত করে।
ক্যাম্পে কর্মরত এপিবিএন-৮ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আটক হওয়া এপিবিএন সদস্যের নাম তৈয়বুল ইসলাম (৩২)। তিনি এপিবিএন কনষ্টেবল থেকে নায়েক হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে ৮/৯ মাস আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বদলি হয়ে আসেন। ইয়াবা পাচারের দ্বায়ে এই এপিবিএন সদস্যকে আটক করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেছে।
কক্সবাজার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সহকারি পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা মুকুল জানান, এপিবিএন নায়েক তৈয়বুল টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামমুখি একটি যাত্রীবাহী বাসে ঈদগাঁও বাসষ্টেশনে নামার পর ইয়াবার চালানসহ তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
সীমান্তবাংলা/এমইউ/জুন২৪
© কপিরাইট ২০১০ - ২০২৪ সীমান্ত বাংলা >> এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Leave a Reply