ডেস্ক নিউজ;
নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ট্রলারে করে পালানোর সময় ২০ রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ জুলাই) ভোরবেলা ট্রলার থেকে নেমে মীরসরাইয়ের মহাসড়কের দিকে যাত্রা শুরু করলে মীরসরাইয়ের অর্থনৈতিক জোনের আনসার ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেন।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি নূর হোসেন মামুন জানান, এর আগে একই এলাকা থেকে ১১ জুলাই ১৮ রোহিঙ্গা ও ২২ জুন ১৪ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসার সময় আটক করে জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ।
ফের ভাসানচর থেকে পালানোর সময় চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে নারী, শিশুসহ ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন মামুন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক ২০ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ, পাঁচ নারী ও ১১টি শিশু রয়েছে। তারা হলেন ২৭ বছর বয়সী আব্দুর রহমান, তার ২০ বছর বয়সী স্ত্রী সেতারা বেগম, তাদের তিন শিশুসন্তান রুমানা, নূর ফাতেমা ও মো. আয়াজ। এ ছাড়া ২৬ বছর বয়সী মো. ছাব্বির, তার ২২ বছর বয়সী স্ত্রী সঞ্চিতা বেগম, তাদের তিন শিশুসন্তান জান্নাত আরা, কিসমত আরা বেগম ও মরিয়ম, ২৩ বছর বয়সী রাজিয়া বেগম, তার দুই সন্তান আবুল কাশেম ও ওসমান গনি, ২০ বছর বয়সী নুরুল করিম, ৫০ বছর বয়সী ছালমা খাতুন, ২৪ বছর বয়সী মো. জামাল, ২৫ বছর বয়সী নূর কায়দা, তার তিন সন্তান মো. আয়াত, জান্নাত আরা ও সেতারা বেগম।
ওসি নূর হোসেন মামুন আরো বলেন, ‘শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ১১টি শিশুসহ ৯ জন নারী-পুরুষের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় ইকোনমিক জোনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের। পরে তারা পরিচয় জিজ্ঞেস করলে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করেন।’
পরে পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন।
আটক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আনসার সদস্য বোরহান উদ্দিন একটি মামলা করেছেন। বিকেলে তাদের চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে বলে জানান ওসি নূর হোসেন মামুন।
সীমান্তবাংলা / ১৭ জুলাই ২০২১