কক্সবাজার-০৪ (উখিয়া টেকনাফ): আওয়ামীলীগের নৌকা, স্বতন্ত্র ঈগল ও জাপার লাঙলের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস

Date:

 

।। এম আর আয়াজ রবি ।।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে, কক্সবাজার-৪ উখিয়া টেকনাফে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে ভোটযুদ্ধের দৃশ্যপট পরিবর্তিত হচ্ছে। এ আসনটি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষণের সীমান্ত আসন ২৯৭, কক্সবাজার-৪ উখিয়া টেকনাফ নির্বাচনী এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি বরাবরই লক্ষ্মী আসন হিসেবে পরিচিত। কারণ, স্বাধীনতার পর থেকেই এই আসনে যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, বরাবরই উনার দল সরকার গঠন করেছেন। তাই এই আসনটি লক্ষ্মী আসন হিসেবে পরিচিত।

সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার-০৪, উখিয়া টেকনাফের এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,২৬,৯৬৯। যার মধ্যে পুরুষ ১,৬৭,১৪০ জন এবং মহিলা ভোটার ১,৫৯,৮২৯ জন। মোট ৪৫টি ভোট কেন্দ্র নিয়ে উখিয়া উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৪ জন। অন্যদিকে ৫৫টি ভোট কেন্দ্র নিয়ে টেকনাফের ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯১ জন। নির্বাচনের মাঠে মাঠের বিরোধী দল বিএনপিসহ জামাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাসদ, জাসদসহ ডান ও বামপন্থী প্রায় ৬০টি রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ না করায় প্রতিদ্বন্ধিতাপুর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে শাসক দলের অভ্যন্তরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়ায় সারাদেশের ন্যায় উখিয়া টেকনাফেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মুখোমুখি আওয়ামী লীগই।

নির্বাচনী মাঠে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ থাকলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষ মোকাবেলায় ব্যস্ত থাকতেন বিধায় নিজেদের মধ্যে স্বতন্ত্র বা ড্যামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনকে প্রায় জোরকরে অংশগ্রহণ করে তোলার প্রয়োজন হতোনা। এখন প্রতিপক্ষহীন নির্বাচন হওয়ার আশংকায় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগই। ইতিমধ্যেই উখিয়া-টেকনাফের ছয় আওয়ামী লীগের নেতা ( মো: নুরুল বাশার, শাহ আলম, আদিল উদ্দিন চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী মোর্শেদ ও সাইফুদ্দিন খালেদ) সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি তথা বর্তমান সাংসদ শাহীন আক্তার চৌধুরীর বিপক্ষে শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছেন। অনেক আগে থেকেই তারা উখিয়া-টেকনাফে শো-ডাউন করে সেই ছয় জনের মধ্য থেকে যে কোন একজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বর্তমান সাংসাদ শাহীন আক্তার চৌধুরী পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান।

নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় হাতেগোনা মাত্র ১০ দিন বাকি থাকলেও ইতিমধ্যেই কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের ভোটের সমীকরণ বদলে গেছে। উচ্চ আদালতের আদেশে এই আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সেই ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একজন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী-টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে ফিরেছেন নির্বাচনী মাঠে।

গত বৃহস্পতিবার (২১-ডিসেম্বর) তিনি উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে পাঠিয়ে তিনি ঈগল প্রতীক পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে ফিরে আসায় উখিয়া টেকনাফ আসনে ভোটের চিত্রে টান টান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ঈগল প্রতীকে মো: নুরুল বাশার নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ শাহীন আক্তার চৌধুরীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছে।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দেন। যাচাই-বাছাইকালে ৪ ডিসেম্বর এক শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষরে গরমিল থাকার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান। পরে উচ্চ আদালতের আদেশে তিনিও প্রতীক বরাদ্দ পান।

এভাবে এ আসনে (কক্সবাজার-৪) আগের প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ জন প্রার্থীর সঙ্গে সাংসদ হবার দৌঁড়ে সংযুক্ত হয়েছেন মোঃ নুরুল বাশার ঈগল প্রতীকে। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী (বর্তমান সংসদ সদস্য) শাহীন আক্তার চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুল আলম (আম), তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব (সোনালী আঁশ), ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী (মিনার) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল (ডাব)।
বাস্তবতা হচ্ছে, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থীতা বৈধতার পুর্বে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহীন আক্তার চৌধুরীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলতে আসলেই তেমন কেউ ছিল না। যে কয়জন নির্বাচনী মাঠে ছিল তারা কোনভাবেই শাহীন আক্তারের সাথে প্রতিদ্বন্ধীতায় পেরে উঠার কথা ছিল না। তাই একপ্রকার হেসে খেলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন বর্তমান সাংসদ ও সমর্থকরা। তবে ইতিমধ্যে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ঈগল প্রতীকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় বদলে গেছে দৃশ্যপট ও ভোটের সমীকরণ।

এদিকে, শাসক দলের দু’প্রার্থী টেকনাফ উপজেলায় অবস্থানের সুযোগে লাঙ্গল প্রতীকের অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো উখিয়া উপজেলায় বলতে গেলে একক প্রার্থী। যেখানে উখিয়া উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১,৫৭,৪৫৪ জন, আঞ্চলিকতার টানে নির্বাচনের মাঠের হাওয়া, পরিবেশ পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে। কারণ লাঙলের প্রার্থী নুরুল আমিন ভূট্টোর ব্যক্তি ইমেজ ও উখিয়ার একক প্রার্থী হবার কারণে ভোটারদের মাঝে আঞ্চলিকতার প্রাধান্য তীব্র হলে জয়ের ব্যাপারে তিনি এগিয়ে থাকবেন বলে সচেতন মহল মনে করেন। অন্যদিকে টেকনাফে মোট ভোটার সংখ্যা ১,৭৭,৯৯১ জন। নৌকা প্রতীকের বর্তমান সাংসদ শাহীন আক্তার চৌধুরী ও ঈগল প্রতীকের মোঃ নুরুল বাশারের অবস্থান টেকনাফ হওয়ায়,উভয় প্রার্থী টেকনাফে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতায় লিপ্ত হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেহেতু এটি জাতীয় নির্বাচন, এখানে আঞ্চলিকতার চেয়ে ব্যক্তি ইমেজ, গ্রহণযোগ্যতা, মার্কাও ভোটারের মনযোগ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া স্বাভাবিক মনে করেন সচেতন মহল। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কক্সবাজার-০৪, উখিয়া টেকনাফ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা, সরকার দলীয় স্বতন্ত্র ঈগল ও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের ত্রিমূখী প্রতিদ্বন্ধিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহিন চৌধুরী যদিওবা টেকনাফের পুত্রবধূ ও সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির কারিশম্যাটিক অবস্থানের কারনে মনোনয়ন পেয়েছেন তথাপি তাঁর ইমেজে, পারিবারিক অবস্থানের কারণে উখিয়াতে প্রভাব পড়েছে বেশি। যেহেতু শাহিন চৌধুরী এমন একজন প্রার্থী বংশমর্যাদা হিসেবে যার কোনো বিকল্প নেই। তিনি উখিয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরীর মেয়ে। কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির চৌধুরীর ছোট বোন। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের তিন বারের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বড় বোন। সে হিসাবে নির্বাচনী এলাকা উখিয়া-টেকনাফে নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে শাহিন চৌধুরীর সমর্থক নেতা-কর্মীরা সভা-সমাবেশ মিটিং-মিছিল নিয়ে নির্বাচনী মাঠে সরব। উখিয়ায় যথেষ্ট তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে। তাছাড়া ভোটারের মনযোগ আকর্ষণ ও ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তারা খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে। অন্যদিকে এমপি শাহীনের ব্যক্তি ইমেজ, শ্বশুর বাড়ীর ইমেজ, সাবেক এমপি আবদূর রহমান বদির ব্যক্তি ইমেজ, গ্রহণযোগ্যতা,রাজনৈতিক পরিপক্ষতা, সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতার উপর আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক ফলাফলে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করছে নৌকা সমর্থনকারী ও সাধারণ ভোটারবৃন্দ।

টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরের রয়েছে নিজস্ব কর্মী বাহিনী। একই সঙ্গে টানা ১৫ বছরের ক্ষমতায় তৃণমূল কর্মীদের অবমূল্যায়ন ও নানা গ্রুপের কারণে পুরো ভোটের মাঠ বদলে গেছে বলে ঈগলের পক্ষের নেতা, সমর্থকের অভিমত।
আনুষ্ঠানিক প্রতীক গ্রহণ শেষে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র সংসদ প্রার্থী মো. নুরুল বশর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এ সুযোগ কোনোভাবে হাত ছাড়া করার সুযোগ নেই। এতোদিন উখিয়া-টেকনাফের মানুষ একটি কালো চক্রের হাতে বন্দি ছিল। যারা মাদক, মানবপাচার ও অপহরণের মতো ভয়াবহ ঘটনার করিগর হয়ে উঠেছেন এবং সারাদেশে টেকনাফ-উখিয়া তথা কক্সবাজারকে মাদকের তকমা দিয়েছেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা- সেই অবস্থা থেকে মানুষ পরিবর্তন চান। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। আমি উখিয়া-টেকনাফকে মাদক-মানবপাচার ও সন্ত্রাসী মুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা করতে চাই। জনতা আমার সঙ্গে আছেন। ইনশাআল্লাহ আমার ঈগল প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত।’

অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো একজন ক্লীন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক।তিনি যদি উখিয়া উপজেলায় সঠিকভাবে চষে বেড়াতে পারেন, সাধারণ ভোটারের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারেন-আঞ্চলিকতার কৌটায়,উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে এমপি হবার সম্ভাবনা প্রকট বলে সাধারণ ভোটার ও সচেতন মহলের ধারনা।

অনেকের মতে, উখিয়া-টেকনাফ আওয়ামী লীগে ত্যাগী নেতাকর্মী থাকার পরও এবারও যোগ্য ও দলের নিবেদিত প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়নি। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, মাঠের বড় বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় নৌকার মনোনয়ন পেলেই পাস এটাই এখন বাস্তবতা। তাই এরুপ চিন্তাধারা থেকেই প্রার্থীরা জনমুখী না হয়ে মনোনয়নমুখী ও প্রশাসনমুখী হচ্ছেন। ফলে তৃণমূলে রাজনৈতিক দুর্বত্তায়ন হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে নৌকা পাওয়ার অশুভ প্রতিযোগিতা চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাঠ পর্যায়ের এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, এবারও বর্তমান এমপিকে মনোনয়ন দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা কর্মীরা খুবই ক্ষুব্ধ। দিন শেষে ক্ষতি হচ্ছে আওয়ামী লীগের, নষ্ট হচ্ছে চেইন অব কমান্ড। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আসছে বিষয়টি। উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বর্তমানে সাবেক সাংসদ বদির ঘোর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে।

মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তাই দেশের অন্যান্য এলাকার মতো উখিয়া টেকনাফ আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ নির্বাচন হবে না বলে মনে হলেও, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর প্রার্থীতা ফিরে পাবার পর থেকেই নির্বাচনের উত্তাপ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরে এসেছে। আগামী ৭ ই জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে জান মালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়ে, সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক এই কামনা করছে এ এলাকার সাধারণ ভোটার ও জনগণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

spot_imgspot_img

Popular

More like this
Related

মাদক কারবারে পাচারকারী আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে গডফাদার

মায়ানমার থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করা সিগারেট, স্বর্ণের বার, ইয়াবাসহ...

নরসিংদীতে বজ্রাঘাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নি’হ’ত

নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে জমিতে ধান কাটার কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে...

সংবাদ প্রকাশের জের:পাচার কালে জ্বালানী তেল জব্দ:টহলদলের গাড়ীতে হামলা:অধরা চোরাকারবারি

  এম.এ.রহমান সীমান্ত: গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকায় ববস্তুনিষ্ঠ ও...

সিরাজগঞ্জ ২১৬ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, কাভার্ড ভ্যান জব্দ।

  মোঃ লুৎফর রহমান লিটন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২’র অভিযানে...